মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় বনগাঁ–বাগদা রেলপথ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখন তড়িঘড়ি এই রেল পথ গড়ে তোলার জন্য সমীক্ষাও শুরু হয়। তবে তারপরও বিষয়টি হয়নি। কারণ এখানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ এগোয়নি।
মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেলপথের। ছবি: এএনআই
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে বাংলায় রেলপ্রকল্পের জন্য জমি নিয়ে নানান কথা ছিল বলে খবর। কিন্তু মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেলপথের। সীমান্ত ঘেঁষা বাগদার মানুষজন একটু মসৃণ যাতায়াত চান। তাই এই দাবি ছিল তাঁদের। এখন অভিযোগ উঠেছে, এই রেলপথ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পালন করা হয়নি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা রেলমন্ত্রীর চিঠির সূত্রে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
কেন এখানে রেলপথ হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় বনগাঁ–বাগদা রেলপথ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখন তড়িঘড়ি এই রেলপথ গড়ে তোলার জন্য সমীক্ষাও শুরু হয়। তবে তারপরও বিষয়টি হয়নি। কারণ এখানে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে ২০২২ সালে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রেলের এক অনুষ্ঠানে জানান, বনগাঁ–বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ এগোয়নি।
ঠিক কী ছিল চিঠিতে? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে কাজ না হওয়া ৬১টি রেল প্রকল্পের জন্য জমি দেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই চিঠিতেই দুই পর্যায়ে বনগাঁ–বাগদা রেলপথের সমস্যার কথা বলা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বনগাঁ থেকে চাঁদাবাজার পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার রেলপথ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজার থেকে বাগদা পর্যন্ত ১৩.৮৬ কিলোমিটার রেলপথ গড়ে তোলার কথা ছিল। শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর চিঠিতে বনগাঁ–বাগদা রেলপথের কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই কাজটা শুরু হবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে রেল প্রকল্প গড়ে তুলতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর উপর নির্ভর করতে হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে বনগাঁ–বাগদা রেলপথের ঘোষণা করেছিলেন। তারপরে আর কেন্দ্র কাজটি এগোয়নি। শান্তনু ঠাকুরও রেলপথ তৈরি করতে পদক্ষেপ করেননি। তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। এখন লোকসভা নির্বাচনের আগে বনগাঁ–বাগদা রেলপথ নিয়ে উদ্যোগ দেখাতে শুরু করেছেন।’ এই রেলপথ গড়ে উঠলে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে। এখন বনগাঁয় যেতে হবে সড়কপথে যেতে হয়। এই রেলপথ হলে সরাসরি বাগদা থেকেই যেতে পারবেন।