মদ্যপান করে বাড়ি ফিরেছিল দেওর। আর দাদার অনুপস্থিতিতে বৌদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই মত্ত দেওর বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে চরম পদক্ষেপ করলেন গৃহবধূ। সরাসরি দেওরের পুরুষাঙ্গে হাঁসুয়ার কোপ বসিয়ে দিলেন বৌদি। চিৎকার করে তখন ছটফট করতে থাকে দেওর। তাতে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের অন্তর্গত পাতিরামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দেওরকে পরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তখন রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল ওই যুবক।
এদিকে ওই মত্ত দেওরকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট হাসপাতালে। তবে অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় যুবককে সেখান থেকে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। এই অভিযুক্ত যুবক তথা দেওর ভিন রাজ্যে কাজ করে। কদিন আগে বাড়িতে এসেছে। দাদা–বৌদি তার থেকে আলাদা থাকে। কিন্তু শনিবার রাতে দাদা বাড়িতে ছিল না। সেটা লক্ষ্য করে দেওর। তারপর মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে দেওর প্রথমে বৌদিকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তাতে দেওরের সঙ্গে বচসা বাধে বৌদির। তখনই বৌদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দেওর বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মহিলাদের নিরাপত্তায় ‘হেল্পলাইন নম্বর’ চালু করল জেলা পুলিশ, দিঘা–মন্দারমণিতে মিলবে পরিষেবা
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে তখন বাধ্য হয়ে একটি হাঁসুয়া নিয়ে দেওরের পুরুষাঙ্গে কোপ দেয় বৌদি। তাতেই দেওরেরর পুরুষাঙ্গ কেটে যায়। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুরুষাঙ্গে ২০টি সেলাই পড়ে। তারপর সুস্থবোধ করলে পুলিশের জেরায় ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত দেওর। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেও এই দেওর তার বৌদিকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ছিল। কিন্তু দেওর ভিন রাজ্যে কাজে চলে যাওয়ায় বৌদি তা কাউকে জানাননি। কিন্তু এবার ভিন রাজ্য থেকে নিজের জেলায় ফিরে এসেই বৌদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দেওর। তাতে রক্তারক্তি ঘটনা ঘটল।