গত মঙ্গলবারের ঘটনা। পুরসভা থেকে বাড়ি ফেরার সময় বর্ধমানের খালাসিপাড়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি। সূত্রের খবর প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়েই জখম হয়েছিলেন তিনি। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় অশোক মাঝির। এবার সেই অশোকের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিসের স্পেশাল অপারেশন টিম। শক্তিগড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ বলেও এলাকায় পরিচিত। এদিকে শিবশঙ্করের গ্রেফতারির ঘটনায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি আইন আইনের পথ চলবে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই খুন নয়। পারিবারিক বিবাদ বা ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে। তবে সূত্রের খবর সেদিন হামলার মূল টার্গেট ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তরা সকলেই বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সহ তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্যদের অনুগামী। এদিকে ঘটনার পরই ১০জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অশোকের স্ত্রী। বুধবার পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদেরকে জেরা করেই শিবশঙ্করের নাম উঠে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই শিবশঙ্করই ধরা পড়ল পুলিশের জালে। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, 'এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আমরা জানতাম খেলা হবে। আমাদের পাঁচজন কর্মী শহিদ হয়েছেন। এরপর ওদেরও শহিদ হওয়া শুরু হয়েছে। তবে আমাদের প্রার্থনা আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়।' এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিবশঙ্কর ঘোষ।