সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কারণ যা অভিযোগ উঠেছে তার বিচার আদালত করবে। কিন্তু জেলে আছে বলে তাঁর খাবারে বিশেষ দেখভাল করা হবে না! এমনই অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের সংশোধনাগারে। এখানেই আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর তাঁর পাতে পড়ছে ‘চালানি’ মাছ। তাতে লম্বা ঢেকুর উঠছে। তাই দেশি মুরগির ঝোল বা পুকুরের টাটকা পোনা মাছ হলে মধ্যাহ্নভোজটা ভাল হয় বলে আবদার করেছেন বিচারাধীন বন্দি অনুব্রত মণ্ডল বলে সূত্রের খবর।
কী করে এই খবর প্রকাশ্যে এল? মঙ্গলবার সিবিআই অফিসাররা অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর অসুবিধার কথা বলেছেন। এমনকী সিবিআইকে অনুব্রত মণ্ডল চালানি মাছে তাঁর ঢেকুর ওঠার কথা জানান। তখনই আবদার করেন তাঁর পছন্দের দু’টি খাবারের। এখানে প্রাতরাশে মুড়ি, চিঁড়ে, ছাতু দেওয়া হয়। এমনকী তাঁকে রুটি–তরকারিও দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে দু’তিনদিন দুপুরে ডিম, মাছ বা মুরগির মাংস সবাই পেয়ে থাকে। অনুব্রতও তা পাচ্ছেন। কিন্তু মাছ চালানি। গ্রামের কেষ্ট তা ধরে ফেলেছেন। তাই তিনি আপত্তি তুলেছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ফলে তাঁর শুনানি ভার্চুয়ালি করা হতে পারে। আর তদন্তের স্বার্থে তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এগুলি এখনও কিছু নিশ্চিত হয়নি। আবার বীরভূমের খয়রাশোলের এক সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘অনুব্রতকে যে দিন বিধাননগর আদালতে নিয়ে আসা হয়, সে দিন ফেরার পথে তাঁকে একটি নতুন মোবাইল দেওয়া হয়েছে।’ তাই মামলাটি অন্য রাজ্যে সরানো হোক।