
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আবারও বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্না নাইডু। তাঁর এবং তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, মুখে মূত্রত্যাগ এবং শরীরের বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেছেন ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা! ওই মহিলা নিজেও বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী! বেঙ্গালুরুর আরএমসি ইয়ার্ড থানায় মুনিরত্না ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি।
মহিলার দাবি, যেহেতু তিনি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়, সেই কারণেই মুনিরত্না তাঁকে পছন্দ করেন না। এদিকে, রাজনৈতিক কারণেই মহিলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ভুয়ো মামলা ঝুলে ছিল। সেই মামলাগুলি তুলে দেওয়ার টোপ দিয়ে ২০২৩ সালের ১১ জুন মুনিরত্নার অফিসে তাঁকে নিয়ে যান বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি।
মহিলার অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় অত্য়াচার। প্রথমে মুনিরত্না ও তাঁর দুই সঙ্গী মিলে মহিলাকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে দেন। তারপর মুনিরত্নার নির্দেশেই ওই দুই ব্যক্তি মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এরপর মুনিরত্না মহিলার মুখে প্রস্রাব করেন এবং তাঁর শরীরে অজানা কোনও এক তরল ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিধায়ক নিজে হাতে তাঁকে সেই ইনজেকশন দিয়েছিলেন বলে মহিলা দাবি করেছেন।
এই ঘটনার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ওই মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেই সময় চিকিৎসকরা জানান, তাঁর শরীরে একটি দুরারোগ্য ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। মহিলার অনুমান, এই ভাইরাসটিই মুনিরত্না তাঁর শরীরে ২০২৩ সালের ১১ জুন ইনজেক্ট করেছিলেন!
এরপর ২০২৪ সালের ১৯ মে ওই মহিলা বিজেপিকর্মী অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে কিছুটা সামলে ওঠার পর ওই মহিলা মুনিরত্নার ও তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ধর্ষণ, আর্থিক দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। যে কারণে দলীয় নেতৃত্বও এখন তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ও সতর্ক।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports