জ্যোতি মালহোত্রা। পাকিস্তানি গুপ্তচর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ফের মুখ খুললেন সেই জ্যোতির বাবা হরিশ মালহোত্রা।
তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, সন্দেহের বশে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কীসের ভিত্তিতে এই সন্দেহ সেটা বলতে পারব না। আমাকে কিছু বলা হয়নি। আমার কাছে তো অত পয়সা নেই যে উকিল রাখব। আদালত থেকে আমায় যাতে সরকারি আইনজীবী দেয় সেই আবেদন করব। আমি গরীব।সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাকে উকিল দিন। আমার খুব সুবিধা হবে। বলেন জ্যোতির বাবা।
তিনি বলেন, আমার ফোন দেশের কাছে আছে(সম্ভবত পুলিশের কাছে)।তিন চার দিন বাদে মেয়ে ঘরে ফিরত। বলত দিল্লি যাচ্ছি। আমার কাছে একটা ছোট ফোন রয়েছে। সেকারণে আমি ওর ভিডিয়ো দেখতে পেতাম না। আমার শরীর ভালো নেই। আমি হাঁটতে পারছি না। আমার কোনও আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী তেমন কেউ নেই যে তাদের বলব আমায় নিয়ে যেতে। আমার জ্বর এসেছিল। সারা শরীরে আমার ব্যাথা রয়েছে। জানিয়েছেন জ্যোতির বাবা।
আমি তো গরিব। সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাকে উকিল দিন। আমার খুব সুবিধা হবে। বলেন জ্যোতির বাবা। জ্যোতির বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে তার বাবা বলেন, এনিয়ে আমি কী বলতে পারি।
তবে জ্যোতি মালহোত্রা কাণ্ড যতই সামনে আসছে ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। পাকিস্তানি লোকেদের সঙ্গে একেবারে মাখো মাখো সম্পর্ক ছিল জ্যোতির। পাকিস্তানেও গিয়েছে সে। তার একাধিক ভ্রমণের ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। একেবারে বিলাসী জীবন। অথচ তার বাবা বলছেন তিনি গরীব। এমনকী তার ছোট ফোন, উকিল রাখার পয়সা নেই। এখানেই প্রশ্ন তাহলে এই যে পাকিস্তান, কলকাতা সহ বিদেশেও যাতায়াত ছিল জ্যোতির। এত টাকা আসত কোথা থেকে?
ইউটিউবার হিসাবে কিছুটা নাম করছিল জ্যোতির। কিন্তু সেই জ্যোতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। সম্প্রতি জ্যোতির একটা ডায়েরি পেয়েছিল পুলিশ। সেখানে পাকিস্তান ট্রিপের কথাও লেখা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতি মালহোত্রা আন্তর্জাতিক ট্রিপে এই ডায়েরি নিয়ে যেত। ইংরেজি আর হিন্দিতে লিখত। তদন্তকারীরা মনে করছেন এই ডায়েরি থেকে জ্যোতির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
এই ডায়েরিতে সে বেড়ানোর নানা অভিজ্ঞতা লিখে রাখত।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে. ১০-১১ পাতার ডায়েরি। তার মধ্য়ে আট পাতা হিন্দিতে সাধারণ কিছু ট্রাভেল নোট ছিল। বাকি তিন পাতা হিন্দিতে লেখা। সেখানে পাকিস্তানের উপর ফোকাস করা হয়েছে।