বীরভূমের দুবরাজপুরে এক আদিবাসী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকায় পরিস্থিতি। ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নেমে অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত মা, থানায় অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নিতে যান বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন পদুমা গ্রামের বাসিন্দা রাম মুর্মু। রাতে অনুষ্ঠান শেষে দুর্গাপুর থেকে ফেরার পথে দুবরাজপুর থানার জয়দেব মোড়ে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সেখান থেকে একজনের মোটরবাইকে চেপে গ্রামে ফিরছিলেন। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার মুখে তেঁতুলতলা মোড়ে কয়েকজন তাঁর পথ আটকায় এবং তাঁকে মারধর করে। প্রাণ বাঁচাতে কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যান রাম মুর্মু। তাঁর দাবি, এই হামলার পিছনে ছিলেন পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তরুণ গড়াই ও তাঁর সহযোগীরা।
ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে দিসম আদিবাসী গাঁওতার দুবরাজপুর শাখার সম্পাদক সুকুমার সরেনের নেতৃত্বে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। দুবরাজপুর-পদুমা সংযোগ রাস্তায় ব্যারিকেড গড়ে তোলেন গ্রামবাসী ও আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং স্থানীয় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তরুণ গড়াই। তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। তিনি বা তাঁর দলের কেউই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।