
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
একের পর এক বিতর্ক। নবান্নে পুরসভাগুলির বৈঠকে শিলিগুড়ি পুরসভার কাজ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল বিতর্ক থেকে শুরু করে পানীয় জল সমস্যার জেরে সাম্প্রতিককালে বারংবার শিরোনমে উঠে এসেছে শিলিগুড়ি। এই আবহে নবান্নের বৈঠক শেষে নিজের শহরে ফিরেই শিলিগুড়ির কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মেয়র গৌতম দেব। এদিকে নবান্নের বৈঠকে ফুটপাথ দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে বুধবার থেকেই শিলিগুড়িতে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হতে চলেছে। এই সবের মাঝেই আবার শিলিগুড়ির মেয়র পারিষদ রদবদল হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এই নিয়ে মেয়র এবং কাউন্সিলররা কোনও কথা বলছেন না। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গৌতম দেব আবার বলেন, 'এই বিষয়ে জানা আমার কাজ না।' (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা নিয়ে সামনে এল নয়া আপডেট, চিঠিতে করা হল বড় দাবি)
রিপোর্ট অনুযায়ী, শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়াদের দাপাদাপি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কয়েকদিন আগেই লোকসভা ভোট চলাকালীন শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি জমি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। জমি মাফিয়ারা গভীর রাতে গিয়ে মিশনের মহারাজদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁদের অপহরণ করেছিল। পরে মিশনের মহারাজদের নামেই আবার দামিন অযোগ্য ধারা মামলা রুজু হয়েছিল। পরে অবশ্য মিশনের মহারাজদের নিরাপদে নিজেদের আশ্রমে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে সেই বিতর্কে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল শাসকদল তৃণমূলকে। বিরোধী বিজেপি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ঘাসফুল শিবিরকে তোপ দেগেছিল। খোদ মোদীর এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। আর এই আবহে সোমের নবান্ন বৈঠকের পরে মঙ্গলে শিলিগুড়ির দলীয় ৩৭ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। বৈঠকে মেয়র হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, বেআইনি কাজ করলে কাউকে রায়াত করা হবে না।
অভিযোগ, শিলিগুড়িতে তৃণমূলেরই বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা বিগত সময়ে বারবার অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। আর নিয়ম মাফিক সেই সব অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে শাসকদলের নেতাকর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীদের। তবে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে এসে গৌতম দেবের স্পষ্ট বার্তা, এবার আর কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে বিগত দিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা দখল হয়েছে। হাইড্রেন দখল করে দোকান বসে। এদিকে বড় বড় বাণিজ্যিক নির্মাণে পার্কিংয়ের জায়গা বা ছাঁদে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রেস্তোরাঁ বা পানশালা খোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে। এই নিয়ে কাউন্সিলরদের পাশাপাশি পুরনিগমের কমিশনার-সহ নির্মাণ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মেয়র। এদিকে শিলিগুড়িতে মেয়র পারিষদ রদবদল হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যে সকল মেয়র পারিষদ নিজেদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারেননিস, তাঁদের সরিয়ে অন্য কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports