মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে অবশেষে পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে অপসারণ করল প্রশাসন। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট আগেই বাতিল করেছিলেন মহকুমাশাক। অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশি নাগরিক লাভলি খাতুন ভুয়ো নথি পেশ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। লাভলির পঞ্চায়েত সদস্যের পদ খারিজ করলেও তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
পড়তে থাকুন - বচসা চলাকালীনই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, ট্রলিব্যাগে মহিলার দেহ উদ্ধারে জেরায় কবুল
আরও পড়ুন - ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ লাভলিকে TMC পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরাল প্রশাসন
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাভলি খাতুনকে পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। ওবিসি সার্টিফিকেট খারিজ হওয়ার পর লাভলির পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ যাওয়াটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা ছিল। অবশেষে সেই আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করল প্রশাসন। ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপ্রধানকে। তবে এব্যাপারে লাভলির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মালদার রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি বলে দাবি করে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই কেন্দ্রে পরাজিত প্রার্থী। সেই মামলায় মহকুমাশাসককে এব্যাপারে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ গড়িমসির পর গত ২৯ জানুয়ারি লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে প্রশাসন।প্রকাশ্যে আসে, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। বাবার নাম জামিল বিশ্বাস। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ভারতে অনুপ্রবেশ করেন লাভলি। ২০১৫ সালে তাঁর নাম ভোটার তালিয়া ওঠে। ২০১৮ সালে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট জোগাড় করে ফেলে সে। এর পর স্থানীয় বাঘমারা এলাকার শেখ মুস্তাফা নামে এক ব্যক্তিকে নিজের বাবা পরিচয় দিয়ে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করে সে।
আরও পড়ুন - ‘আন্দোলন না করার জন্য ডাক্তারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে’, বেতন নিয়ে বেলাগাম দিলীপ
ওদিকে বাঘমারা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শেখ মুস্তাফার সমস্ত সন্তানদের চেনেন তাঁরা। লাভলি খাতুন নামে ওই ব্যক্তির কোনও সন্তান নেই। যে ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেছেন লাভলি তারা জানিয়েছেন তাঁদের সই জাল করা হয়েছে। তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।