অভাবের তাড়নায় মাত্র ১৮ বছরের মেয়েটার বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। সঙ্গে সোনা - দানা দিয়েছিলেন সাধ্যমতো। কিন্তু জামাইয়ের দাবি মতো খাট - বিছানাটা দিতে পারেননি। আর তার জেরেই নববধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোনারপুরের মুড়াগাছিতে। নিহত বধূর নাম সীতা মণ্ডল। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী অরূপ নস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরের বাসিন্দা সীতার সঙ্গে মুড়াগাছির অরূপের বিয়ে হয়। নিহত বধূর বাবা দিব্যকুমার মণ্ডল বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিই। সঙ্গে সাধ্যমতো সব কিছু দিয়েছিলাম। কিন্তু জামাই একটা পালঙ্ক আর বিছানা চেয়েছিল। সেটা দেওয়ার মতো টাকা আমার কাছে আর ছিল না। এর পর খাট - বিছানা দেওয়ার জন্য জামাই সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার মধ্যেও টাকা জোগাড় করে উঠতে পারিনি। বৃহস্পতিবার আমাকে ওরা ফোন করে বলে মেয়ে মারা গিয়েছে।’নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য সীতাকে নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। টাকা ছাড়াও দাবি করা হচ্ছিল খাট - বিছানা। দাবি না মিটলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকিও দিত স্বামী। এমনকী বউদি পূজা নস্করের সঙ্গে অরূপের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি তাদের।নিহতের মেসোমশাই জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বরও ফোনে পূজার সঙ্গে কথা হয়েছে পরিবারের। সেদিন মাংস রান্না হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পূজা। তার মধ্যে এমন কী হল যে মৃত্যু হল তরুণী বধূর? পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত বধূর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।