ওই রাস্তা দিয়ে বিহার থেকে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ওই বাসটি যাচ্ছিল। তার পিছনে ছিল বোলেরো গাড়িটি। গোসাইপুর সংলগ্ন রাস্তায় আসার পরে আচমকা দাঁড়িয়ে যায় বাসটি। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোলেরো গাড়িটি বাসের পিছনে সজরে ধাক্কা মারে। সজরে আঘাতের ফলে বোলেরো গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
বাগডোগরায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১। ছবিটি প্রতীকী। (PTI Photo)
পাহাড়ে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যাত্রীর। এছাড়াও আরও ৬ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগডোগরার গোসাইপুরের এশিয়ান হাইওয়ের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। একটি যাত্রী বোঝাই বাসের পিছনে সজরে ধাক্কা মারে এটি বোলেরো গাড়ি তার জেরে বোলেরো গাড়িতে থাকা এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হতাহতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে বিহার থেকে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ওই বাসটি যাচ্ছিল। তার পিছনে ছিল বোলেরো গাড়িটি। গোসাইপুর সংলগ্ন রাস্তায় আসার পরে আচমকা দাঁড়িয়ে যায় বাসটি। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোলেরো গাড়িটি বাসের পিছনে সজরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় বাসের যাত্রীদের আঘাত না লাগলেও সজরে আঘাতের ফলে বোলেরো গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই বোলেরো গাড়িতে থাকা এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বাগডোগরা থানার পুলিশ। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলেরো গাড়িতে থাকা ওই পরিবারটির বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। তারা নিজেদের গাড়িতে করে দক্ষিণেশ্বর থেকে কালিম্পংয়ের চুইখিমে সপরিবারে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম হল ইন্দ্রাশিস চক্রবর্তী। এদিন দুর্ঘটনার পরেই প্রথমে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তারাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দেওয়ার পরেও তারা অনেক দেরিতে সেখানে পৌঁছেছেন। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছালে প্রাণহানি রোখা যেত। তবে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় স্থানীয়রাই তাদের টোটো করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি জানান, তারা দক্ষিণেশ্বর থেকে চুইখিমের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাগডোগরা পেরোনোর পর গোসাইপুরে আচমকা বাসটি দাঁড়িয়ে যায়। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের গাড়িচালক বাসের পিছনে ধাক্কা মারেন। ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী নামে জখম এক ব্যক্তি জানান, এই ঘটনায় তার ছেলে ইন্দ্রাশিসের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।