কোচবিহার শহরে যুব তৃণমূল নেতা অমর রায়কে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতারি। আট দিন পর এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে সক্ষম হল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় বিনয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং চার রাউন্ড গুলি। তদন্তকারীদের মতে, অমরকে খুন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল এই অস্ত্রটাই।
আরও পড়ুন: অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণে যাওয়া TMC নেতাকে অন্ধকার রাস্তায় তাড়া করে কুপিয়ে খুন!
পুলিশ জানায়, ৯ অগস্ট সন্ধ্যায় কোচবিহারের ডোডেয়ার হাটে অমর রায় চার বন্ধুকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। আচমকা বাজারের ভিড়ের মধ্যে গুলি চালানো হয়। একের পর এক গুলি অমরের গায়ে লাগে এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ খুনিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। ধৃত বিনয় রায়ের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু করে পকসো সহ নানা অভিযোগে তাঁর নাম রয়েছে পুলিশি খাতায়। বহু বছর ধরে তিনি শিলিগুড়িতে বসবাস করছিলেন। পুলিশের দাবি, অমরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল এবং সেই রেষারেষি থেকেই খুনের ছক কষা হয়। তবে বিনয় একা নন, আরও কয়েক জন এতে যুক্ত বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা জানান, তদন্তের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানার জন্য তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। শিগগিরই বাকি অভিযুক্তদেরও ধরা হবে। অমর রায়ের খুনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া। তৃণমূলের দাবি, ষড়যন্ত্র করে তাঁদের তরুণ নেতাকে খুন করা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘাতই এই হত্যার পেছনে মূল কারণ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত সমস্ত অভিযুক্তকে ধরেই পুরো ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করা হবে।