কোচবিহারের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই ছাত্রী নাম অন্বেষা ঘোষ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মেধাবী এই পড়ুয়া? তা নিয়ে ধন্দে পরিবার থেকে শুরু করে সহপাঠীরা।
আরও পড়ুন: হাওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হিমাচলের ছাত্রের মৃত্যু, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি
বর্ধমানের বাসিন্দা অন্বেষা কয়েকদিনের ছুটি কাটিয়ে রবিবারই ফেরেন হস্টেলে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। সহপাঠীরা দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ আরও বাড়ে। অবশেষে দরজা ভাঙতেই চোখে পড়ে অন্বেষার ঝুলন্ত দেহ। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, অন্বেষা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে এর পেছনে আসল কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, মৃতার পরিবার ও সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলেই এই রহস্যের সমাধান সম্ভব হবে। এদিকে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
হঠাৎ এভাবে মেয়েকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছে অন্বেষার পরিবার। তারা বুঝতে পারছেন না কী এমন ঘটেছিল যে, প্রাণবন্ত মেয়েটি এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল। কলেজে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। ঘটনার পর হস্টেলের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার রাতে তারা প্রথমে ছাত্রীর কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে না পেয়ে সহপাঠীদের মাধ্যমেই খবর পান। তবে কেন অন্বেষা এমন পথে হাঁটলেন, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। কোচবিহারের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার এই অকাল মৃত্যু ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এটা কি নিছকই আত্মঘাতী পদক্ষেপ, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে? সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।