উৎপন্ন একাদশী: আজ বিষ্ণু ভক্তরা উৎপন্ন একাদশীতে উপবাস পালন করেন এবং ভগবানের আরাধনা করেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, উৎপন্ন একাদশীর উপবাস করলে পুণ্য ফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শুধু উৎপন্ন একাদশীর পূজাই নয়, পরণের শুভ সময়ও পালন করা হয়। আসুন জেনে নিই উৎপন্ন একাদশীর উপবাসের পদ্ধতি।
একাদশীর নির্ঘণ্ট:-
২৭ নভেম্বর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথির উপবাস সকাল, সন্ধ্যা বা বিকেলে কখন ভাঙবে? এই দিনে, পরানের (রোজা ভঙ্গের) শুভ সময় হবে দুপুর ১.১২ টা থেকে ৩.১৮ পর্যন্ত। পরান তিথির দিন হরি ভাসার সমাপ্তির সময় হবে সকাল ১০.২৬ মিনিট। একই সময়ে দ্বাদশী তিথি থাকবে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬:২৩ পর্যন্ত।
উৎপন্ন একাদশীর উপবাস কীভাবে ভাঙবেন?
স্নান করুন এবং পরিষ্কার কাপড় পরুন
ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর জলাভিষেক করুন
পঞ্চামৃত সহ গঙ্গাজল দিয়ে ভগবানকে অভিষেক করুন।
এবার প্রভুকে হলুদ চন্দন ও হলুদ ফুল নিবেদন করুন।
মন্দিরে ঘির প্রদীপ জ্বালান
ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় মন্ত্র জপ করুন
পূর্ণ ভক্তি সহকারে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর আরতি করুন।
প্রভুকে তুলসী নিবেদন করুন
অবশেষে, রোজা পূর্ণ করুন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করুন
উপবাস ভঙ্গের দিন এই কথা মাথায় রাখুন- পঞ্চাঙ্গ মতে একাদশী উপবাসের পরের দিন সূর্যোদয়ের পর পরাণ করা হয়। দ্বাদশী তিথি শেষ হওয়ার আগেই একাদশীর উপবাস ভঙ্গ করা জরুরি বলে মনে করা হয়। যদি সূর্যোদয়ের আগে দ্বাদশী তিথি শেষ হয়,তাহলে সূর্যোদয়ের পরই একাদশীর উপবাস ভঙ্গ হয়। দ্বাদশী তিথির মধ্যে পরাণ না করা শুভ বলে বিবেচিত হয় না। বিষ্ণু ভক্ত যারা উপবাস করছেন তাদের উপবাস ভাঙার আগে হরি ভাসার শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। হরি ভাসার দ্বাদশী তিথির প্রথম এক চতুর্থাংশ কাল ধরা হয়। উপবাস ভাঙার সবচেয়ে শুভ সময় হল সকাল। কোনও কারণে সকালে পারণ করতে না পারলে দুপুরের পর পরাণ করতে হবে।
(এই তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)