শ্রাবণ সংক্রান্তিতে মনসা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর ১৭ অগস্ট শ্রাবণ মাসের শেষ দিন। এই দিন বাংলার ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হবে মনসা পুজো।মা মনসার দুই রকম রূপ। পৌরাণিক রূপ অন্যটি হলো লৌকিক রূপ। মা মনসা কে মূলত শিবের পুত্রী হিসেবে পুজো করা হয়। আগেকার দিনে মূলত জেলে ও কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ মায়ের পুজো করত। পরে ধীরে ধীরে এই পুজোর প্রচলন বাড়ে।মা মনসার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে নানারকমের কাহিনি রয়েছে। কেউ বলেন তিনি পদ্মবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। কেউ বলে তিনি কেয়াবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ আবার বলে থাকেন তিনি পাতাল কুমারী কারণ তার জন্ম পাতালে।মা মনসার সঙ্গে চাঁদ সওদাগরের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিহিত। চাঁদ সওদাগর মূলত ছিলেন শিবের ভক্ত। তিনি মা মনসা কে কিছুতেই দেবী হিসেবে মানতে চাননি প্রথমে। পরে তারই হাতে দেওয়া ফুল দিয়ে প্রথম মর্ত্যলোকে মা মনসার প্রথম পুজো আরম্ভ হয়। এই নিয়ে গড়ে উঠেছে মনসামঙ্গল কাব্য গ্রন্থ। শ্রাবণ মাসে প্রচন্ড সাপের উপদ্রব হয়। কারণ এই সময়টা বর্ষাকাল। মাঠে-ঘাটে অনেকেই সাপের কামড়ের শিকার হন। মা মনসা কে সাপের দেবী মনে করা হয় আর এই সাপের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতেই বাংলার ঘরে ঘরে শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তির দিন ঘট পেতে মা মনসার পুজো করা হয়।