জন্মাষ্টমীর তিথি শুরু হচ্ছে ১৫ অগস্ট রাত থেকেই। কিন্তু কখন শেষ হচ্ছে তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত এবং গুপ্তপ্রেস, এই দুই পঞ্জিকা অনুসারে জন্মাষ্টমীর তিথি ও পুজো মুহূর্তের সময় কিছুটা ভিন্ন। গভীর রাতেই জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই এই সময়কেই পুজোর সর্বোত্তম সময় বলে মনে করা হয়। কিন্তু অষ্টমী তিথি যতক্ষণ রয়েছে, ততক্ষণ জন্মাষ্টমীর পুজো করা যায়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে
এই পঞ্জিকা অনুযায়ী, জন্মাষ্টমীর অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ১৫ অগস্ট, শুক্রবার, রাত ১১টা ৫১ মিনিটে। তিথি শেষ হবে ১৬ অগস্ট, শনিবার, রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মধ্যরাতে হয়েছিল বলে, ১৫ অগস্ট রাতে তিথি শুরু হলেও মূল পুজো ও উপবাস পালন করা হবে ১৬ অগস্ট সারাদিন।
আরও পড়ুন - কোটি কোটি একাদশীর পুণ্য লাভ হয় জন্মাষ্টমীর এক উপবাসে! শুধু মানতে হয় এই নিয়ম
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, অষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ১৫ অগস্ট, শুক্রবার, রাত ১টা ১৬ মিনিটে। এই তিথি শেষ হবে ১৬ অগস্ট, শনিবার, রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে। এই পঞ্জিকাও বলছে যে, যদিও তিথি ১৫ অগস্ট রাতে শুরু হচ্ছে, কিন্তু যেহেতু শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ১৬ অগস্ট মধ্যরাতের কাছাকাছি সময়ে হয়েছিল, তাই মূল পুজো ও উৎসব ১৬ অগস্টেই হবে।
আরও পড়ুন - জন্মাষ্টমীতে পেঁয়াজ রসুন খেলে পুজোয় কী বিঘ্ন ঘটে? আমিষ বলে? পুরাণ বলছে অন্য কথা
পুজো ও পারণের সময়
উভয় পঞ্জিকা মতে, জন্মাষ্টমীর মূল পুজো করা হবে ১৬ অগস্ট, শনিবার, মধ্যরাতে। এই সময়ের শুভ মুহূর্ত হলো রাত ১২:০৪ থেকে রাত ১২:৪৭ পর্যন্ত। উপবাস পালনকারীরা এই সময়ে শ্রীকৃষ্ণের পুজো, অভিষেক এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারবেন। সাধারণত, জন্মাষ্টমীর উপবাস ব্রত ভঙ্গের জন্য মধ্যরাতের পুজোর পর বা পরের দিন সকালে পারণ করা হয়।