জন্মাষ্টমীর উপবাস হিন্দুধর্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রত। এটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি হিসেবে পালিত হয়। এই উপবাস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল মন ও শরীরকে শুদ্ধ করে ঈশ্বরের প্রতি একাগ্রতা বৃদ্ধি করা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, জন্মাষ্টমীর উপবাসে কোটি কোটি একাদশীর সমান পুণ্য লাভ হয়। কিন্তু তার জন্য উপবাস কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। উপবাসের সময় যে কিছু খাওয়া যায় না, তা নয়। তবে খাদ্যগ্রহণের কিছু নিয়ম আছে। বিশেষ কিছু জিনিস খাওয়া যেতে পারে। এই দিনে সাধারণ শস্য বা চাল-ডাল খাওয়া বারণ। তার পরিবর্তে কিছু নির্দিষ্ট ফল, সবজি, এবং বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণ করা হয়, যা ব্রতের পবিত্রতা বজায় রাখে।
আরও পড়ুন - জন্মাষ্টমী তিথি এই বছর কতক্ষণ? কখন গোপালের পুজো করা সর্বোত্তম? কী বলছে পঞ্জিকা
জন্মাষ্টমীর উপবাসে কী কী খাবার খেতে পারেন?
ফল: জন্মাষ্টমীর উপবাসে ফল খাওয়ার নিদান রয়েছে শাস্ত্রে। তাই এই দিন কলা, আপেল, আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, শসা ইত্যাদি ফল রাখতে পারেন আপনার পাতে।
শস্যের বিকল্প: অনেকেই সাধারণত ভাত বা রুটি খান রোজ। কিন্তু তার বদলে সাবু, সাবুদানা ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন। এগুলি উপবাসের কষ্ট অনেকটা লাঘব করে দেয়।
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য: শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম প্রিয় খাবারগুলি কিন্তু উপবাসের সময় নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। দুধ, দই, মাখন, ঘি ইত্যাদি খাবার উপবাসের সময় খাওয়া যায়। এতে ব্রতের পবিত্রতাও বজায় থাকে। পুণ্যলাভও দ্বিগুণ হয়।
আরও পড়ুন - খেল দেখাবেন শনিদেব! বুধের সঙ্গে নবম যোগে ভাগ্য ঘুরছে ৩ রাশির, উড়বে সুখের ফানুস
কী কী খাওয়া যাবে না?
- চা বা কফি - উপবাসের সময় অনেকে চা বা কফি খেয়ে থাকেন। কিন্তু জন্মাষ্টমীর পুজোয় চা বা কফি না খাওয়াই ভালো। এই দুই উপাদান এমনিতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। অন্যদিকে উপবাসের মধ্যে মনকে অস্থির করে দিতে পারে।
- পেঁয়াজ ও রসুন - পেঁয়াজ ও রসুনকে তামসিক খাদ্য বলা হয়ে থাকে। তাই উপবাসের সময় মনকে স্থির রাখতে পেঁয়াজ ও রসুন এড়িয়ে চলুন। এতে উপবাসের পবিত্রতা বজায় থাকে।