যে তিনটি কারণে ইংল্যান্ড সিরিজে ঋষভ পন্তের বদলে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেটকিপিং করা উচিত

ব্যাট হাতে সফল, তবে উইকেটকিপিংয়ে এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে ঋষভ পন্তকে। এযাবৎ ঋষভের খেলা দেখে এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞমহলের। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটকিপিংয়ে আগের থেকে পরিণত দেখিয়েছে পন্তকে।গত অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ঋষভ পন্ত ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। রান পেয়েছেন বটে, তবে তাঁর অহেতুক টি-২০ সুলভ শট খেলতে যাওয়ার প্রবণতাকে কার্যত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সামিল মনে হয়েছে অনেকের।এই অবস্থায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধিমান সাহাকে উইকেটকিপিং করানোর দাবি উঠতে শুরু করেছে। দাবিটা যে নেহাৎ অমূলক নয়, সেটা বুঝতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। দেখে নেওয়া যাক কোন তিনটি কারণে ইংল্যান্ড সিরিজে পন্তের বদলে ঋদ্ধির উইকেটকিপিং করা উচিত।প্রথমত, ঋদ্ধিমান সাহাকে শুধু ভারতেরই নয়, টেকনিকের নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইংল্যান্ডের পিচ ও পরিবেশে উইকেটকিপারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন নয় যে, উপমহাদেশের মতো ইংল্যান্ডে রোজ রোজ বড় রানের ইনিংস দেখা যাবে। বরং ৩০০-৩৫০ রানই লড়াই করার পক্ষে যথেষ্ট মনে হতে পারে। এই অবস্থায় উইকেটকিপারের হাত থেকে জীবনদান পেয়ে কোনও ব্যাটসম্যান বাড়তি ৩০-৪০ রান যোগ করলেও তা ম্যাচে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া উইকেটকিপার নির্ভরতা দিতে পারলে বোলাররা বাড়তি আত্মবিশ্বাস পান, যা তাঁদের আগ্রাসী হতে সাহায্য করে।দ্বিতীয়ত, ঋষভ পন্ত অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। নিজের দিনে একার হাতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টায় যে কোনও মুহূর্তে তিনি আউট হতে পারেন। পন্ত ব্যাট করতে নামলে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষে নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব নয়। তার উপর তাঁর শট বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। এক্ষেত্রে পন্তকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলালে ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোসংযোগ করতে পারবেন তিনি। ঋদ্ধি সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের কথা না ভেবে উইকেটকিপিংয়ে মন দিতে পারবেন।তৃতীয়ত, অতীতে ঋদ্ধি দেখিয়েছেন যে, তাঁর ব্যাট হাতে দীর্ঘ সময় ক্রিজে পড়ে থাকার ধৈর্য্য ও দক্ষতা দুইই রয়েছে। এক্ষেত্রে লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন ঋদ্ধিমান।