এক সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে, একানা স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই ম্যাচকে ঘিরে এখন বিতর্ক, জল্পনা, আলোচনা, সমালোচনা- সব কিছুই চলছে। এই ম্যাচেই এলএসজি মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে আরসিবি তারকা বিরাট কোহলির তুমুল ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। কোহলির সঙ্গে তার আগে অবশ্য ঝামেলা হয়েছিল নবীন-উল-হক এবং অমিত মিশ্ররও। পরবর্তীতে খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরে কোহলি-গম্ভীরের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি করার উপক্রম হয়েছিল। এই ঘটনার পর বিসিসিআই আইপিএল কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের জন্য কোহলি এবং গম্ভীর দুই তারকাকেই পুরো ম্যাচ ফি জরিমানা করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়া এই ঘটনার পর তুমুল আলোড়ন পড়েছি, এখনও সেই জের চলছে।
লখনউয়ের ইনিংসের শেষের দিকে প্রথমে কোহলির সঙ্গে ঝামেলা লাগে এলএসজি প্লেয়ার নবীন-উল-হকের। নবীন এবং অমিত তখন ব্যাট করছিলেন। এই ঝগড়ার রেশ বহু দূর গড়ায়। ঝামেলায় জড়ান লখনউয়ের আর এক ব্যাটার অমিত মিশ্র। ঝামেলা থামাতে আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দুই দলের প্লেয়াররা যখন হাত মেলাচ্ছিলেন, সেই সময়ে আর এক দফা ঝামেলা শুরু হয় নবীন আর কোহলির। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দু'জনকে সরিয়ে দেন। এর পরে শুরু হয় কোহলি এবং গম্ভীরের মধ্যে তীব্র ঝামেলা। যার ফলে একানা স্টেডিয়ামে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুই দলের প্লেয়ার, সাপোোর্ট স্টাফেরা মিলেও দুই তারকাকে আলাদা করতে পারছিলেন না। একে অপরের দিকে তেড়ে তেড়ে যাচ্ছিলেন। আইপিএল কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের জন্য কোহলি, গম্ভীর ছাড়াও নবী-উল-হককেও ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: কমলা টুপির তালিকায় তিনে উঠে এলেন শুভমন, পার্পল ক্যাপ দখল করলেন শামি
সোমবার একটি দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, এলএসজি-র পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট পুরো ঘটনায় চমকে গিয়েছিল। কারণ তারা এমনটা ঘটতে পারে ভাবতেই পারেনি। এর আগে ১০ এপ্রিল আরসিবি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যখন এলএসজি বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিল, সেই সময়ে সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়া এবং কোহলির সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট গল্প করেছিলেন গম্ভীর। ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদপত্রে জানিয়েছেন যে, সেই দিন তিন জনের মধ্যে সুস্থ, স্বাভাবিক কথোপকথন হয়েছিল। খোশমেজাজেই আড্ডা মেরেছিলেন কোহলি এবং গম্ভীর। ঝামেলার লেশমাত্র ছিল না। অথচ এর তিন সপ্তাহ পরে লখনউতে যা ঘটেছিল, তাতেই হতবাক হয়ে পড়েছিল লখনউ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: আপনার কাজ ভালো খেলা, এর পর ফিরে যাওয়া- ভারতীয় ফ্যানদের একহাত নেওয়ায় SRH তারকাকে তোপ বীরুর
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, কোহলির উপর গম্ভীরের রেগে যাওয়ার আসল কারণ ছিল, লখনউ প্লেয়ারদের সঙ্গে কোহলির খারাপ আচরণ। কাইল মেয়ার্সের আউটের পরে কোহলি একটু বেশিই আগ্রাসন দেখান। যেটা ইচ্ছাকৃত বলে মনে হয়েছে। এই নিয়ে মেয়ার্সের সঙ্গে ম্যাচের পর ঝামেলা লাগার মুখে ছিল। কিন্তু মেয়ার্সকে সেই সময়ে টেনে নিয়ে যান গম্ভীর। আবার যখন নবীন ব্যাটিং করছিলেন, তখন কোহলি তাঁর জুতোর ঘাস দেখিয়ে ইশারা করে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে জানো না, আমি কে’। এর পর মহম্মদ সিরাজের দিকে ফিরে তিনি বলেছিলেন, ‘ওর মাথায় বল মারো’। এর পর ইচ্ছাকৃত ভাবে বল স্টাম্পে মারেন সিরাজ। তবে, কোহলি বিসিসিআই কর্মকর্তার কাছে এই বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন যে, তিনি সিরাজকে একটি বাউন্সার দিতে বলেছিলেন, এবং নবীনের মাথায় আঘাত না করতে বলেছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।