বাংলা নিউজ > ময়দান > আইপিএল ২০২০ > KKR vs RR: ‘এর থেকে বেশি কিছু করতে পারতাম না’, রাজস্থানকে উড়িয়ে বললেন মর্গ্যান
পরবর্তী খবর
KKR vs RR: ‘এর থেকে বেশি কিছু করতে পারতাম না’, রাজস্থানকে উড়িয়ে বললেন মর্গ্যান
7 মিনিটে পড়ুন Updated: 01 Nov 2020, 11:48 PM ISTAyan Das
মরণবাঁচন ম্যাচে দাপুটে জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের।
ম্যাচ জয়ের উচ্ছ্বাস কেকেআরের (ছবি সৌজন্য আইপিএল)
কেন তাঁরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা, বড় খেলোয়াড় - তা আবারও প্রমাণ করলেন ইয়ন মর্গ্যান ও প্যাট কামিন্স। একজন অধিনায়কের মতো ব্যাট হাতে দলকে টানলেন। অপরজন মরণবাঁচন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের শক্তিশালী টপ অর্ডারকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। কামিন্সকে যোগ্যসংগত ছিলেন শিবম মাভি, কমলেশ নাগরকোটি, বরুণ চক্রবর্তী। আর সেই দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্য রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। (আইপিএলের যাবতীয় আপডেট, লাইভ স্কোর দেখুন এখানে)
ইয়ন মর্গ্যান : আমার মনে হয় না, আজ আমরা এর থেকে বেশি কিছু করতে পারতাম না।
দুবাইয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে অষ্টম স্থান থেকে লিগ তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কেকেআর। ১৪ ম্যাচে নাইটদের পয়েন্ট ১৪। আর ৬০ রানে জয়ের ফলে নেট রানরেট (-০.২১৪) অনেকটা ভালো হয়েছে।
কেন তাঁরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা, বড় খেলোয়াড় - তা আবারও প্রমাণ করলেন ইয়ন মর্গ্যান ও প্যাট কামিন্স। একজন অধিনায়কের মতো ব্যাট হাতে দলকে টানলেন। অপরজন মরণবাঁচন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের শক্তিশালী টপ অর্ডারকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। কামিন্সকে যোগ্যসংগত ছিলেন শিবম মাভি, কমলেশ নাগরকোটি, বরুণ চক্রবর্তী। আর সেই দুরন্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্য রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শেষপর্যন্ত ৬০ রানে জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার জেরে প্লে-অফে যাওয়ার আশা বেঁচে রইল কেকেআরের। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারল না রাজস্থান।
দিল্লি ও ব্যাঙ্গালোরের নেট রানরেটের থেকে ভালো হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা করতে পারল না কেকেআর। রাজস্থানের স্কোর ১৬.৩ ওভারে সাত উইকেটে ১১৩ রান।
আউট হয়ে গেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এখনও কেকেআরের সামনে নেট রানরেটের বিচার ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। ১৪.৪ ওভারে রাজস্থানের স্কোর সাত উইকেটে ১০৪ রান।
আউট বাটলার! তাঁকে রীতিমতো ক্রিজে জমাট দেখাচ্ছিল। আবারও কেকেআরের ত্রাতা হলেন বরুণ চক্রবর্তী। ডিপ মিড-উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন। তা বাউন্ডারির আগে প্যাট কামিন্সের হাতে জমা পড়ল। ১০.৪ ওভারে রাজস্তানের স্কোর ২২ বলে ৩৫ রান।
১০ ওভারে রাজস্থানের স্কোর পাঁচ উইকেটে ৭৪ রান। বাটলার করেছেন অপরাজিত ২৯ রান। তেওয়াটিয়া করেছেন ১২ রান।
এবারের আইপিএলে আট ম্যাচে পাওয়ার প্লে'তে কোনও উইকেট পায়নি কেকেআর। আর মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন কেকেআর বোলাররা। ৬ ওভারে রাজস্থানের স্কোর পাঁচ উইকেটে ৪১ রান।
এবারে আইপিএলে রাজস্থানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে সাত উইকেট পেয়েছে কেকেআর। আর বাকি ১২ টি ম্যাচে তাদের উইকেটপ্রাপ্তি ৬।
তিন উইকেট নিয়েছিলেন। তাই তৃতীয় ওভার প্যাট কামিন্সকে বল দেন ইয়ন মর্গ্যান। আর শেষ বলে রিয়ান পরাগকে আউট করলেন অজি তারকা। দারুণ শর্ট ছিল। ব্যাট সরিয়ে নিতে পারেননি পরাগ। উইকেটের পিছনে ভালো ক্যাচ ধরেন দীনেশ কার্তিক। রাজস্থানের স্কোর পাঁচ উইকেটে ৩৭ রান।
প্যাট কামিন্সের সেই ওভারেই আউট স্টিভ স্মিথ। ব্যাটের কাণায় বল লেগে প্লেড-অন হয়ে গেলেন। কেকেআরের জন্য বড় সুবিধা। রাজস্থানের স্কোর ৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান।
বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে অসামান্য ক্যাচ নিলেন দীনেশ কার্তিক। আর তাও কিনা বেন স্টোকসের। ফুল বল করেছিলেন। হালকা সিম মুভমেন্ট হয়। স্টোকসের কাণায় লেগে প্রথম স্লিপের দিকে বল উড়ে যায়। প্রথম স্লিপের জন্য সাধারণ ক্যাচ ছিল। প্রথমে ডানদিকে সরে গিয়ে বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে উড়ন্ত ক্যাচ নেন। রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ২৭ রান। ১১ বলে ১৮ রান করেন স্টোকস।
প্রথম ওভারের পাঁচ বলে ১৯ রান উঠেছিল। শেষ বলে সামান্য লেংথের পরিবর্তন করলেন কামিন্স। তাতেই আউট হয়ে গেলেন উথাপ্পা। এক ওভারে রাজস্থানের স্কোর এক উইকেটে ১৯ রান।
রান তাড়া শুরু করল রাজস্থান রয়্যালস। ওপেন করতে নেমেছেন রবিন উথাপ্পা ও বেন স্টোকস। বল হাতে প্যাট কামিন্স। আর প্রথম বলেই ছক্কা মারলেন। পুরোপুরি উপহার ছিল। পরের বলেই বহু হাত বাইরে দিয়ে ওয়াইড হল। ০.১ ওভারে রাজস্থানের স্কোর আট রান।
১১ ম্যাচে ১৮ রান করে মর্গ্যানকে ভরসা জোগালেন প্যাট কামিন্স। রাসেল থাকলে আরও হয়তো ২০ রান বেশি হত।
ম্যাচের শুরুতে মোটামুটি এরকম রানই চাইছিল কেকেআর। প্রতিযোগিতামূলক রান হলেও আরও ২০ রান বেশি হলে খুশি হত কেকেআর। তাও বোলারদের হাতে কিছু পুঁজি আছে। কিন্তু শেষ ম্যাচে অনায়াসে ১৮০+ রান তাড়া করে নিয়েছিল রাজস্থান। তাই শুরুটা ভালো করতে হবে কেকেআরকে। বিশেষত মাঠে যে শিশির পড়ছে, তা ভালো মতো বোঝা যাচ্ছে।
৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছ'টি ছক্কা ও পাঁচটি চার মেরেছেন।
প্যাট কামিন্স আউট হওয়ার পর শেষ ওভারে পুরো কেকেআরে ইনিংস বেলাইন হয়ে গেলে। শেষ ওভারে উঠল ৯ রান। ২০ ওভারে কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৯১ রান। ৩৫ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকলেন মর্গ্যান। যা আইপিএলে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর।
২০০ রান কি তুলতে পারবে কেকেআর?
আগের ওভারে ঢিমেতালের বল করেছিলেন স্টোকস। এবার সেই ঢিমে বলের জন্য তৈরি হয়েছিলেন মর্গ্যান। তার সৌজন্যে শেষ তিন বলে ১৬ রান তুললেন। সবমিলিয়ে ওভারে ২৪ রান উঠল। কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৮২ রান।
মরণবাঁচন ম্যাচে দলের তিন ব্যাটসম্যান খাতাই খুলতে পারলেন না। তাই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ইয়ন মর্গ্যান। মাত্র ৩০ বলে ৫০ রান করলেন। অধিনায়কসুলভ ইনিংস। স্টোকসের বলে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করলেন।
১৮ ওভারের শেষে কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৫৮ রান। কমপক্ষে ১৮০ রানের গণ্ডি টপকাতে চাইবে কেকেআর। একটা ইনিংসে তিনজন কোনও রানই করতে পারলেন না।
আউট আন্দ্রে রাসেল! বড় ধাক্কা কলকাতার জন্য। দেখে মনে হচ্ছিল, আজ ফর্মে আছেন। জোফ্রা আর্চারকে ছক্কা মারলেন। কার্তিক ত্যাগীর প্রথম ২ বলে ২ ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় বলে আউট হয়ে গেলেন। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে বল করেছিলেন। বলে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডেভিড মিলারের হাতে জমা পড়লেন। ১১ বলে ২৫ রান করলেন রাসেল। অত্যন্ত হতাশ রাসেল। হওয়ারই কথা। এভাবেই বারবার আউট হয়েছেন। আবারও সেই ভুল করলেন। কেকেআরের স্কোর ১৫.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম : এরকম পরিস্থিতিতে কত রান উপযুক্ত, তা বোঝা যাচ্ছে না।
১৫ ওভারে কেকেআরের স্কোর পাঁচ উইকেটে ১৩২ রান। শেষ পাঁচ ওভারে কমপক্ষে ৫০-৬০ রান তোলার চেষ্টা করবেন মর্গ্যান ও রাসেল।
১৪ তম ওভারে উঠল ২১ রান। শেষ চার বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কা মারলেন ইয়ন মর্গ্যান। কেকেআরের স্কোর পাঁচ উইকেটে ১২১ রান। মর্গ্যান ১৮ বলে ৪০ রান করেছেন মর্গ্যান। ৪ বলে ২ রান করেছেন রাসেল।
১৩ ওভারে কেকেআরের স্কোর পাঁচ উইকেটে ১০০ রান। একটা সময় ৮.২ ওভারে কেকেআরের রান ছিল ৭৩। গিল আউট হওয়ার পরই কেকেআর ইনিংস গতি হারিয়ে ফেলল। তারপর থেকেই শিশির পড়ছে। সেই সুবিধা নিতে পারছে না কেকেআর।
দুর্দান্ত বোলিং করলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন ২৫ রান।
প্রথম বলেই আউট দীনেশ কার্তিক। তেওয়াটিয়ার বল পিচে পড়ে থমকে গেল। তা অফসাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কাণায় লেগে সোজা মিড-উইকেটে স্মিথের হাতে ক্যাচ গেল। ১২.৩ ওভারে কেকেআরের স্কোর পাঁচ উইকেটে ৯৯ রান।
ইতিমধ্যে শিশির পড়তে শুরু করেছে। ফলে বোর্ডে বড় রান দরকার। কিন্তু মর্গ্যান ও রাহুলের পার্টনারশিপে গতি আসছিল না। বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন রাহুল। একেবারেই ভালো ছিল না শ্রেয়স গোপালের বল। শর্ট বলে বড় শট মারতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ভালো ক্যাচ নিলেন রবিন উত্থাপ্পা। কেকেআরের স্কোর ১২ ওভারে চার উইকেটে ৯৪ রান।
পাঁচে নামলেন ইয়ন মর্গ্যান।
একই ওভারে জোড়া উইকেট পেলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। শুরু থেকেই মেরে খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শরীরের অবস্থানের জন্য বল উঁচুতে উঠে যায়। লং অনে সহজ ক্যাচ ধরলেন বেন স্টোস। কেকেআরের স্কোর ২ উইকেটে ৭৪ রান।
চারে নামলেন সুনীল নারিন।
ভালো এগোচ্ছিলেন। কিন্তু আউট হয়ে গেলেন শুভমন গিল। দারুণ টাচেও ছিলেন। তা বড় রানে পরিণত করতে পারলেন না। বরং ম্যাচে কিছুটা ফিরল রাজস্থান। মাঠের বড় বাউন্ডারির দিকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড-উইকেটে জস বাটলাররের হাতে জমা পড়লেন গিল। ২৪ বলে ৩৬ রান করেছেন। কেকেআরের স্কোর ৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৭৩ রান।
৬ ওভারে কেকেআরের স্কোর এক উইকেটে ৫৫ রান। এটাই এবার পাওয়ার প্লে'তে কেকেআরের সর্বোচ্চ স্কোর। গিল অপরাজিত আছেন ১৯ বলে ৩৩ রানে। রাহুল ত্রিপাঠী করেছেন ১৬ বলে ২০ রান।
ভালো টাচে আছেন শুভমন গিল। দ্বিতীয় ওভারে তিনটি চার মারলেন। আরও দুটি ভালো শট মেরেছিলেন। তা ফিল্ডারদের হাতে যায়। তবে সেই ভালো ছন্দকে বড় স্কোরে পরিণত করতে হবে। ২ ওভারে কেকেআরের স্কোর এক উইকেটে ১৩ রান।
নিজের রানের ধারা বজায় রাখলেন নীতিশ রানা। গোল্ডেন ডাক, ৮১, গোল্ডেন ডাক, ৮৭ রানের পর আবারও প্রথম বলে আউট হলেন রানা। ০.২ ওভারে কেকেআরের স্কোর এক উইকেটে এক রান। শুধু আউট হলেন না, জঘন্যভাবে ডিআরএস নষ্ট করলেন।
কেকেআরের হয়ে ব্যাট করতে নামলেন শুভমন গিল এবং নীতিশ রানা। জোফ্রা আর্চারের বিরুদ্ধে ভালো শুরু করতে হবে।
বড় ঝুঁকি নিল কেকেআর। আন্দ্রে রাসেলকে প্রথম একাদশে রাখলেন ইয়ন মর্গ্যানরা। কেকেআরের একাদশে দুটি পরিবর্তন হয়েছে। বাদ পড়েছেন লকি ফার্গুসন এবং রিঙ্কু সিং। প্রথম একাদশ -শুভমন গিল, সুনীল নারিন, রাহুল ত্রিপাঠী, নীতিশ রানা, ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্স, শিবম মাভি, কমলেশ নাগারকোটি এবং বরুণ চক্রবর্তী।
দুবাইয়ে মরণবাঁচন ম্যাচে টসে জিতলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।