কলকাতা লিগের বলই গড়াল না, তার আগে অবনমনের আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে লাল-হলুদকে

ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের জট কি আদৌ কাটবে? এই নিয়ে তীব্র জল্পনা রয়েছে। তারই মাঝেই অবশ্য এসসি ইস্টবেঙ্গলকে রেখে কলকাতা লিগের ক্রীড়াসূচি তৈরি করে ফেলল আইএফএ। তবে সোমবার কলকাতা লিগের বৈঠকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফে কোনও প্রতিনিধি যোগ দেননি। বাকি ১৩টি দলের প্রতিনিধি অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। এ দিনের বৈঠকের পর আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘এসসি ইস্টবেঙ্গল যদি না খেলে, তবে তাদের অবনমনও হয়ে যেতে পারে।’তবে এই বছর তো অন্য ডিভিশনের ম্যাচ নেই। সেক্ষেত্রে অবনমন হবে কী করে? আইএফএ সচিবের দাবি, ‘অন্য ডিভিশনের ম্যাচ হতেও পারে। ক্লাবগুলো খেলতে চাইলে আমাদের আপত্তি নেই। ফার্স্ট ডিভিশনের ক্লাবই যেমন খেলতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অন্য ডিভিশনের খেলা হলে, আর ইস্টবেঙ্গল না খেললে অবনমন নিশ্চিত।’ জানা গিয়েছে, ফার্স্ট ডিভিশনের টিমগুলো লিগ খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সেক্ষেত্রে হয়তো বাকি ডিভিশনের ম্যাচগুলোও হতে পারে।জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলকে ইতিমধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা কী করতে চাইছে, জানতে চেয়ে। সোমবার নাকি কলকাতা লিগের বৈঠকের সময় ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার ফোনে জানিয়েছেন, তারা লিগ খেলতে আগ্রহী। এ দিকে আবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফেও ই-মেল মারফৎ একই কথা জানানো হয়েছে। এবং তারা কিছু সমস্যার কারণে এই বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছে। আইএফএ সচিবের দাবি, ‘আমরা একটি ক্লাবের জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে পারব না। ওদের আরও একটা চিঠি দেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যে ওরা যদি কিছু না জানায়, সেক্ষেত্রে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল লিগের একেবারে শেষে জায়গা পাবে। আর এ বার লিগে যদি অবনমন থাকে, তারা প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে নেমেও যেতে পারে।’ উল্লেখ্য, ইস্টবেঙ্গল এখনও কোনও প্লেয়ার সই করায়নি, বা দল তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নেয়নি। কী ভাবে তারা লিগে অংশ নেবে, তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে।