'আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি মাত্র ৬৫০ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। তারপরেই ক্রমাগত নীচে নামতে থাকে।' অভিশপ্ত ১২ জুনের দুর্ঘটনার মুহূর্তের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব সমীরকুমার সিনহা জানান, বিমানটি উড়ানের ঠিক এক মিনিট পরে মেঘানিনগরের একটি মেডিকেল হস্টেল কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন-ম্যাপে কাশ্মীরকে ভুলভাবে দেখিয়ে রোষের মুখে ইজরায়েল, পরে ভারতের কাছে চাইল ক্ষমা
শনিবার সমীরকুমার সিনহা বলেন, '৬৫০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। ক্রমশ নীচে আসতে শুরু করে দিয়েছিল। পাইলট এটিসিকে (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) ১টা ৩৯ মিনিটে 'মে ডে' বার্তা দেন। এটিসি-র তথ্য অনুযায়ী, এরপর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এর ঠিক এক মিনিট পরেই আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে মেঘানিনগরে বিমানটি ভেঙে পড়ে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগে বিমানটি প্যারিস-দিল্লি-আমদাবাদ সফর করে ফিরেছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নায়ডুও। তিনি বলেন, 'আমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে দুর্ঘটনাটি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এমন পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমিও একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বাবাকে হারিয়েছি। তাই কিছুটা হলেও, পরিবারের সদস্যরা যে ব্যথা এবং যন্ত্রণা অনুভব করছেন তা আমি বুঝতে পারি।' মন্ত্রী আরও বলেন, অসামরিক বিমান চলাচল দফতর (ডিজিসিএ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বহরের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, 'ভারতে ৩৪টি ড্রিমলাইনার বিমানের মধ্যে আটটি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন-ম্যাপে কাশ্মীরকে ভুলভাবে দেখিয়ে রোষের মুখে ইজরায়েল, পরে ভারতের কাছে চাইল ক্ষমা
আমদাবাদের মেঘানিনগরে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমান। যেটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ছিল। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে মাত্র এক জন আশ্চর্যরকম ভাবে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক এবং একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। বিমানটি বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়েছিল। সেখানেও কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় বিমান দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৪-এ।