ভাতে মরবে পাকিস্তান! কার্যত এবার আর বিষয়টি কথার কথা রইল না। এবার বাস্তবে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানে।
সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বাতিল করার পরে কী ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানে সেটাই সামনে এল এবার। ইন্দাস রিভার সিস্টেম অথরিটি( IRSA) তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, IRSA অ্যাডভাইজরি কমিটির মিটিং হয়েছে ৫ মে, ২০২৫। খারিফ মরশুমে জল কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্য়ে এই জল প্রাপ্তি নিয়ে মিটিং। ইসলামাবাদের আইআরএসএ-র দফতরে এই মিটিং হয়।
সেই মিটিংয়ে কারা কারা ছিলেন তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এরপর উল্লেখ করা হয়েছে জলদি খারিফ মরসুমে যে মাসগুলি বাকি রয়েছে সেখানে কেমন জল মিলবে তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। আর্লি খারিফ( মে মাস থেকে ১০ জুন পর্যন্ত)। লেট খারিফ মরসুম ( ১১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) এটা সর্বসম্মতিক্রমে দেখা গিয়েছে যে চেনাব নদীতে জল কমে গিয়েছে, ভারত জল ছাড়া কমিয়ে দেওয়ায়। তার ফলশ্রুতিতে জলদি খারিফে জলের আরও অভাব হবে।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ শতাংশ জলের ঘাটতি হবে যদি চেনাব নদীতে জল স্বাভাবিক হয়। আর পরিস্থিতির উপর রোজ নজর রাখা হবে। যদি এই জলের পরিমাণ কমতে থাকে নদীতে তবে ফের সেটা পর্যালোচনা করা হবে। তবে লেট খারিফে ৭ শতাংশ ঘাটতি হবে জলের। বলা হয়েছে ইসলামাবাদের তরফে।
ভারত চেনাব নদীতে জলের যে ঘাটতি তৈরি করেছে, সেক্ষেত্রে জলাধারগুলি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। জাতীয় স্পিরিট নিয়ে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পাকিস্তান।
তবে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কার্যত এটা বোঝা যাচ্ছে যে নদীতে জলের ঘাটতির জেরে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে। মে মাস থেকে চাষের যে মরসুম চলছে তাতে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে। মনে করা হচ্ছে নদীর জলের উপর নির্ভর করে যে জলসেচ ব্যবস্থাগুলি রয়েছে পাকিস্তানে সেখানে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। এনিয়ে বিরাট উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। আপাতত রিজার্ভার ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু রিজার্ভারের জল দিয়ে কি আর চাষ করা সম্ভব? তবে ন্যাশানাল স্পিরিটের কথা উল্লেখ করে পাক নেতারা আপাতত ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব?