ওয়াকফ ইস্যুতে বিহারের শাসকদল জেডিইউ ছাড়লেন ৫ নেতা। এদিকে পড়শি উত্তরপ্রদেশে এনডিএ শরিক আরএলডি থেকে পদত্যাগ করলেন এক নেতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, আরএলডির উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক শাহজেব রিজভি পদ ও দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, আরও নেতা আরএলডি ছাড়বেন ভবিষ্যতে। এদিকে বিহারে জেডিইউ ছেড়েছেন পাঁচ সিনিয়র নেতা। উল্লেখ্য, এনডিএ-তে থাকা আরএলডি এবং জেডিইউ, উভয় দলই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল সংসদে। এই আবহে আরএলডি থেকে পদত্যাগ করা রিজভি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে ২০০০ দলীয় কর্মীও জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গ ছাড়বেন। তিনি বলেন, 'আজ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যদি আরএলডি-র ১০ জন বিধায়ক থাকে, তাহলে মুসলিমরা তাতে সাহায্য করেছে। চৌধুরী চরণ সিংয়ের দেখানো পথ থেকে সরে গিয়েছেন জয়ন্ত চৌধুরী।' (আরও পড়ুন: 'গরিব মুসলিমরা তো প্রতিবাদ করছে না', বিল নিয়ে দাবি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতির)
আরও পড়ুন: সীমান্তে বাড়ছে সহিংসতা, ফের এক অনুপ্রবেশকারীকে খতম করল BSF
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঁচ বর্ষীয়ান সংখ্যালঘু নেতার প্রস্থান জেডিইউ-র জন্য উদ্বেগের। নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিও বাড়ছে নীতীশ কুমারের জন্যে। ওয়াকফ ইস্যুতে জেডিইউ থেকে পদত্যাগ করা পঞ্চম নেতা হলেন নাদিম আখতার। এর আগে ওয়াকফ ইস্যুতে দল ছেড়েছেন রাজু নায়ার, তাবরেজ সিদ্দিকি আলিগ, মহম্মদ শাহনওয়াজ মালিক এবং মহম্মদ কাসিম আনসারি। এর আগে রাজু নায়ার তাঁর পদত্যাগপত্রে বলেছেন, 'ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতি জেডিইউয়ের সমর্থনে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। এই আইন মুসলমানদের নিপীড়নকারী একটি কালো আইন।' এদিকে শুক্রবার জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে লেখা পদত্যাগপত্রে তাবরেজ হাসান বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতি সমর্থনে দলের ওপর থেকে মুসলমানদের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক…', মোদী-ইউনুস বৈঠকের পর বড় মন্তব্য হাসিনা বিরোধী নেতার)