
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মীরাট হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে! এই ঘটনাও ঘটেছে সেই উত্তরপ্রদেশে। অভিযুক্ত ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি গোন্ডা জেলা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, তিনি তাঁর স্বামীকে কেটে টুকরো টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন! ঠিক যেমনটা করা হয়েছিল মীরাটের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে।
এই অভিযোগ সামনে এসেছে একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাঁদের নাম এই ভিডিয়োর সঙ্গে জড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা হলেন - জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহা, তাঁর সস্ত্রী মায়া মৌর্য্য এবং মায়ার কথিত প্রেমিক নীরজ মৌর্য্য।
এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই পুলিশের কাছে জোড়া অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এবং সেটা করা হয়েছে শনিবার (২৯ মার্চ, ২০২৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং পুলিশও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গোন্ডা জল নিগমে চাকরি করেন ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহা। ২০১৬ সালে বাস্তি জেলার মেয়ে মায়া মৌর্য্যকে বিয়ে করেন তিনি। প্রেম করেই মায়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
এরপর এই দম্পতির একটি মেয়ে হয়। এবং তারপর একে একে তিনটি চারচাকা গাড়ি কেনেন ধর্মেন্দ্র। এবং প্রত্যেকটি গাড়িই কেনা হয় মায়ার নামে। যার ইএমআই নিয়মিত শোধ করে গিয়েছেন ধর্মেন্দ্র।
এরপর ২০২২ সালে মায়ার নামে একটি জমি কেনেন ধর্মেন্দ্র। এবং সেখানে একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য মায়ারই আত্মীয় নীরজ মৌর্য্যের সঙ্গে চুক্তি করেন। অভিযোগ হল, এই সময় থেকেই নীরজ ও মায়া ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নীরজের স্ত্রীর। এর ফলেই মায়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। এবং এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
ধর্মেন্দ্রর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই মায়া এবং নীরজকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এবং এর প্রতিবাদ করে তাঁকে মারও খেতে হয়। এরপর মায়া বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
এরপর গত বছরেরই ২৫ অগস্ট মায়া নীরজকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে আসেন। জোর করে বাড়িতে ঢোকেন এবং ১৫ গ্রাম সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। ১ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্মেন্দ্র।
এরপর গত ২৯ মার্চ (২০২৫) মায়া ফের নীরজকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে আসেন। তাঁর মাকে খুনের হুমকি দেন। এবং ধর্মেন্দ্র ও তাঁর মাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। ধর্মেন্দ্র তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, 'এই ঘটনার সময়েই মায়া আমাকে বলেন, তুমি যদি বেশি কথা বলো, তাহলে মীরাট কেসের মতো তোমাকেও কেটে টুকরো করে ড্রামে ঢুকিয়ে দেব!'
অন্যদিকে, মায়ার বক্তব্য, তিনি এসব কিছুই করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্য়া। বরং, তাঁর স্বামীই তাঁকে চারবার গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন। মায়া বলেন, তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়মিত মারধর করতেন। গত বছরের জুলাই মাসেও সেটা হয়েছিল। যে কারণে তিনি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মায়া বলেন, তাঁর স্বামী ইতিমধ্যেই ডিভোর্সের মামলা রুজু করেছেন এবং তাঁকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে বাধ্য করেছেন। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports