মুম্বইয়ে বড়সড় মাদকচক্রের পর্দা ফাঁস করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মনে করা হচ্ছে, এটিই ভারতের সবচেয়ে বড় মাদক পাচার চক্র। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তবে এই চক্রের কিংপিন এখনও পলাতক। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। বিশেষ করে এই কার্টেলের মূল পান্ডা লন্ডনে অপরাধ মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়াও, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন কোর্স সম্পূর্ণ করেছেন। (আরও পড়ুন: ইউনুসের ওপর আরও চটে যাওয়ার 'নতুন কারণ' পেলেন ট্রাম্প? ঢাকা বলছে...)
আরও পড়ুন: সরকার চাইছে মাদক ধ্বংস করতে, আর দেশের ৭ শতাংশ মানুষ নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছে: শাহ
পুলিশ জানিয়েছে, এর কিংপিনের নাম নবীন চিচকার। তিনি মূলত নভি মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে বিদেশে থাকেন। তিনি ভারতীয় সহযোগীদের সহায়তায় বছরের পর বছর ধরে এই মাদকচক্র চালিয়ে আসছিলেন। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, শুধুমাত্র গত দু’বছরে এই চক্র সারা দেশে প্রায় ১,১২৮ কোটি টাকার মাদক বিক্রি করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন হাওয়ালা অপারেটর এইচ প্যাটেল এবং অন্যজন হলেন ব্যবসায়ী এইচ মান। তাঁরা দুজনেই সারা দেশে মাদক বিক্রি করতেন। আর সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে অপারেটরদের মধ্যে ভাগ করে দিতেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরও তিনজন বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। (আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করবেন, দাবি কানাডার পরবর্তী সম্ভাব্য PM-এর)
আরও পড়ুন : জোড়া ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরপূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ, কম্পনের উৎসস্থল রাখাইনে
মূলত এই চক্র কোকেন এবং বিশেষ ধরনের গাঁজা পাচার করত। সূত্রের খবর, এই সব মাদক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমানের কার্গোর মাধ্যমে মুম্বইতে আনা হয়। পরে সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। শুধু ভারতেই নয়, কিছু মাদক অস্ট্রেলিয়াতেও বিক্রি করা হতো। পুলিশ জানিয়েছে, এনসিবির আধিকারিকরা গত ১ জানুয়ারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মুম্বইয়ে এই চক্রের হদিস পায়। মামলার তদন্তে জানা গিয়েছে, যে অভিযুক্তরা গত দুই বছরে কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ কেজি কোকেন এবং প্রায় ৬০ কেজি এই বিশেষ ধরনের গাঁজা বিক্রি করেছেন।
পুলিশ নভি মুম্বইয়ে ধৃতদের কাছ থেকে ১১.৫৪০ কেজি অত্যন্ত উচ্চমানের কোকেন, ৪.৯ কেজি হাইড্রোপনিক গাঁজা, ২০০ প্যাকেট (৫.৫ কেজি) মাদক গাম এবং নগদ ১,৬০,০০০ টাকা উদ্ধার করেছে। এই চক্রের মাথার খোঁজ করছে পুলিশ। এছাড়াও এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি কীভাবে নবীন এই অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়লেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।