বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। সেখানে আর যেতে পারবেন না পর্যটকরা। গত ১ নভেম্বর থেকে সেই দ্বীপে আর যেতে পারবেন না পর্যটকরা। এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে অলিখিতভাবে ওই দ্বীপে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা হয়ে গিয়েছে।
এদিকে এই দ্বীপে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। তাঁরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন বলে খবর। এদিকে আচমকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত সেখানকার বাসিন্দারাও। তারাও বুঝতে পারছেন না কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল?
এদিকে দ্বীপের বাসিন্দারা ছাড়া বাইরের কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর। এর জেরে দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্য়েও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্বীপের কয়েকহাজার বাসিন্দা এনিয়ে সরব হয়েছেন।
কিন্তু কেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল? এনিয়ে নানা জনে নানা কথা বলছেন।
তবে এনিয়ে একটি বিষয় সামনে আসতে চলেছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে একটি বিশেষ অভিযোগ করেছিলেন। আমেরিকার অনেক দিনের লোভ রয়েছে এই দ্বীপের উপর। এমনকী তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে আমেরিকা এমন দাবিও করেছিলেন হাসিনা। এদিকে সেই হাসিনা কার্যত পরবর্তী সময় বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি হাসিনার সেই ইঙ্গিতই সত্যি হতে চলেছে? তলায় তলায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আমেরিকার কোনও গোপন বোঝাপড়া হয়েছে? যার জেরে এবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ধীরে ধীরে পর্যটকদের আনাগোনায় রাশ টানা হচ্ছে? তবে এনিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি এই দাবি বিদেশীদের লিজ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। এসব গুজব রটছে।
এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা কতটা তা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমরা আসিয়ানের সদস্যপদের জন্য় আবেদন করেছি। মালয়েশিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে। ইন্দোনেশিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে। …তুরস্ক আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায়। চলতি মাসে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দল বাংলাদেশ আসছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলি যে আমাদের যে বড় সাহায্য করছে সেটাই নয়। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। রাষ্ট্রসংঘের মজলিসে আমরা প্রশংসিত।’
ইউনুস বলেন, ‘নেপাল, মলদ্বীপ, পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। যেখানে আমি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে বলেছি। ’