একতরফা প্রেমের ভয়ঙ্কর পরিণতি। মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে অতিথি শিক্ষিকাকে গায়ে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক নরসিংহপুর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার এক্সিলেন্স স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ওই ছাত্র এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন-'জিরো টলারেন্স' নীতি! বিজেডি সাংসদকে ধর্ষণ-খুনের হুমকি, বড় পদক্ষেপ 'মাহিন্দ্রা'র
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।অভিযোগ, হঠাৎ করেই পেট্রোল ভর্তি বোতল একটি নিয়ে ওই শিক্ষিকার (২৮) বাড়িতে যায় প্রাক্তন ছাত্র (১৮)। এরপরে কোনও কিছু না বলেই শিক্ষিকার উপর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই ছাত্র।তারপর তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে।অন্যদিকে, শিক্ষিকার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা গেছে, ওই তরুণীর শরীরের ১০-১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে তাঁর অবস্থা গুরুতর হলেও প্রাণঘাতী নয়।
আরও পড়ুন-'জিরো টলারেন্স' নীতি! বিজেডি সাংসদকে ধর্ষণ-খুনের হুমকি, বড় পদক্ষেপ 'মাহিন্দ্রা'র
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং শিক্ষিকা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চিনতেন।শিক্ষিকার প্রতি একতরফা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল অভিযুক্তের। কয়েক বছর আগে ওই শিক্ষিকা যে স্কুলে পড়াতেন সেখান থেকে ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর সে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়। সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিওপি) মনোজ গুপ্ত জানিয়েছেন, স্কুলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় অভিযুক্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছিল। সেই নিয়ে অভিযোগ করায় তাঁকে স্কুয়াল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই আক্রোশের জেরে শিক্ষিকার উপর প্রতিশোধ নিতে পারে ওই ছাত্র।তাঁর কথায়, 'স্কুলের ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানের জন্য ওই শিক্ষিকা শাড়ি পরেছিলেন, যা নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্র আপত্তিকর মন্তব্য করেছিল। এরপরে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন ছাত্রের বিরুদ্ধে। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয় ওই ছাত্র। এরপর সে এই হামলার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করে।এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১২৪এ ধারা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষিকার বয়ান রেকর্ড করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।' অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই কোতোয়ালি পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডোঙ্গারগাঁও থানা এলাকার কল্যাণপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে তদন্ত।