রাস্তায় যাঁরা অস্থায়ী দোকান দেন, কিংবা যাঁরা ঠেলাগাড়িতে ভ্রাম্যমান দোকান চালান, এবারের বাজেট বক্তৃতায় সেই স্ট্রিট ভেন্ডরদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় তিনি জানান, এই ধরনের অসংগঠিত ও অত্যন্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী (পিএম) স্বনিধি প্রকল্পকে আরও দৃঢ় করা হবে। এই প্রকল্পের পুনর্গঠন করার কথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারামন জানান, এবার থেকে নিজেদের ব্যবসার প্রয়োজনে এক লপ্তে অনেকটা টাকা ঋণ নিতে পারবেন স্ট্রিট ভেন্ডররা। এই ঋণ তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে প্রদান করা হবে। ডিজিট্যাল লেনদেনের কথা মাথায় রেখে ইউপিআই লিঙ্কড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উপভোক্তা বা আবেদনকারীকে এই ঋণ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের অধীনে এবার থেকে সর্বাধিক ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন স্ট্রিট ভেন্ডররা। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই ৬৮ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডর লাভবান হয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, এত দিন এই ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন স্বীকৃতিহীন জায়গা থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হতেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারি এই প্রকল্প চালু হওয়ায় তাঁরা স্বল্প সুদে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে ঋণ পাচ্ছেন। আগামী দিনে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও অনেক উপভোক্তা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে সরকার পক্ষ।
এই প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারামন বলেন, 'এই সাফল্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এবার থেকে ইউপিআই লিঙ্কড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্ট্রিট ভেন্ডররা সর্বাধিক ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।'
প্রসঙ্গত, পিএম স্বনিধি প্রকল্পটির পুরো নাম হল - প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডর'স আত্মনির্ভর নিধি। যা অত্যন্ত কম সুদে স্ট্রিট ভেন্ডরদের 'স্পেশাল মাইক্রো ক্রেডিট ফেসিলিটি' (বিশেষ ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা) প্রদান করে।
এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় করোনা অতিমারির জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রিট ভেন্ডররাও ছিলেন। আবার এই সময়েই অনেকে চাকরি হারিয়ে রাস্তায় অস্থায়ী দোকান দেওয়া শুরু করেন বা ভ্রাম্যমান দোকান চালু করেন।
এই ধরনের সমস্ত মানুষের কথা ভেবেই পিএম স্বনিধি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। যাতে প্রয়োজনে টাকা ধার নিয়ে উপভোক্তারা স্বনির্ভর হতে পারেন। তাঁদের রোজগারের জন্য অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়।