বাড়ি মালিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সম্পত্তির লোভে সত্তরোর্ধ বাড়িওয়ালাকেই পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল সেই প্রৌঢ়া ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়।ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-গত ৬ বছরে এই প্রথমবার জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে নাও যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! কিন্তু কেন?
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িওয়ালা হরিহর সাহু (৭২) যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তার ঘরে ঢুকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয ভাড়াটিয়া সুদেষ্ণা জেনা(৫৭)। এরপর প্রমাণ লুকানোর চেষ্টাও করেন ওই মহিলা। বাড়িওয়ালার মোবাইল ফোনটি বাড়ির উঠোনের ভেতরের দিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর যে প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন আনা হয়েছিল, সেটাও আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাট করে ফেলার পর ভাড়াটিয়া সুদেষ্ণা জেনা চিৎকার চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করেন। পাড়া প্রতিবেশীদের সাহায্যে সাহুকে উদ্ধার করার ভানও করেন। কিন্তু তার আগেই বাড়িওয়ালার মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয় পুলিশ জানায়, মহিলা এতটাই ধূর্ত যে দাবি করেন, দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বাড়িওয়ালার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিকে প্রথমে বেরহামপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কটকের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই হরিহরের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-গত ৬ বছরে এই প্রথমবার জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে নাও যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী! কিন্তু কেন?
জানা গিয়েছে, বছর সাতান্নর সুদেষ্ণা জানা ওড়িশার গঞ্জম জেলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সিনিয়র পুলিশ অফিসার সারাভানা বিবেক এম বলেন, বাড়িওয়ালা হরিহর সাহুর সঙ্গে নাকি বিশেষ সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল ওই মহিলার। তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সুদেষ্ণা জেনার সঙ্গে গত পাঁচ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব পরিদর্শক হরিহর সাহু। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়েই বৃদ্ধর সম্পর্কে সব জেনে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বিধবা ভাড়াটিয়া।ইতিমধ্যে বাড়িওয়ালাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ভাড়াটিয়া ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। অভিযোগ, সুদেষ্ণা জেনার নজর ছিল বৃদ্ধের সম্পত্তিতে। তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকলেও অভিসন্ধি ছিল বাড়িওয়ালার গোটা বাড়িটাই দখল করা।
আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন! বিরিয়ানি বিক্রেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড