সাধারণ মানুষ আর মুক্তিবাহিনীই ছিল একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম আস্থা। গোপালগঞ্জের ঘটনার পর ফের একবার সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের এককালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি আওয়ামি লিগের গড় গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি সভা করে। ওই সভা থেকে মুজিববাদকে কবর দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই সভা ভণ্ডুল করে দেয়। এর পরেই ছাত্র লিগ, আওয়ামি লিগের কর্মীদের উপর সেনা ও পুলিশ হামলা করে বলে অভিযোগ। হামলায় সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। বেসরকারি হিসেবে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
বর্তমানে কী অবস্থা গোপালগঞ্জে?
গোপালগঞ্জের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বতী সরকার জানিয়েছে, ন্যায়শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত শেষ করে আইনমাফিক অভিযুক্তদের সাজা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ নাকি আত্মরক্ষা করতে গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আইপিসিআর। অন্যদিকে কারফিউ জারি হয়েছে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন - কিছু বন্ধু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ভারত, নিমিশাকে নিয়ে বড় আপডেট বিদেশমন্ত্রকের
কী বললেন শেখ হাসিনা?
তবে গোপালগঞ্জের ঘটনায় তীব্র মাত্রায় সরব হয়েছে শেখ হাসিনা। সেনা অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করেন এই দিন। বুধবার অনলাইনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। এনসিপির চাঁদাবাজি, মাস্তানির জন্য মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এনসিপির কারণেই গোপালগঞ্জে সাতটা প্রাণ ঝরে গেল...অথচ দোষ সব ছাত্র লিগের উপর দেওয়া হচ্ছে।’
সেনাদের নিয়ে কী বললেন হাসিনা
অন্যদিকে হাসিনা নিজের আমলে কী কী করেন, সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন। ‘এই সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। ভাত পেত না, রুটি-ডাল খেতে হতো। আমি আসার পরে সেই ব্যবস্থা করি। বেতন বৃদ্ধি করেছি, প্রোমোশনের ব্যবস্থা করেছি। আর এখন এই সেনা দেশের মানুষের সঙ্গে যা আচরণ করেছে, সেটা একাত্তর সালে পাক সেনা বাহিনী করেছিল।’
আরও পড়ুন - India Zero Dose Children: ৯ লাখ শিশু পায়নি কোনও টিকা! ভারতের টিকাব্যবস্থার হালহকিকত প্রকাশ করল WHO রিপোর্ট
সাধারণ মানুষকে পথে নামার ডাক
বাংলাদেশের সরকার ক্ষমতা থেকে হঠাতে এই দিন সাংবাদিক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে। প্রত্যেককে অনুরোধ করব এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। ইউনূসের হাত থেকে দেশের মানুষকে, নারীকে, শিশুকে রক্ষা করুন। এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই। হাতে যা আছে, তা নিয়ে পথে নামতে হবে।’