গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে বধূহত্যা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর নয়া মোড়। ঘটনা পুরো ঘুরে গেল ১৮০ ডিগ্রি। বর্তমানে ২৮ বছরের নিকি ভাটিকে পণের দাবিতে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তোলপাড় দেশ। গত ২১ আগস্ট এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নিকির স্বামী বিপিন ভাটি, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটির পর থেকে পরপর উঠে আসছে নতুন সব তথ্য ও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।এবার এই মামলায় যৌতুক নিয়েই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিকির বৌদি মীনাক্ষী। (আরও পড়ুন: 'এত শুল্ক চাপাব, মাথা ঘুরে যাবে', ভারত-পাক যুদ্ধের সময় নাকি হুমকি দেন ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: পদত্যাগের পর জগদীপ ধনখড় কী করছেন, তাঁর স্ত্রী কেন বারবার রাজস্থানে যাচ্ছেন?
জানা গেছে, ৩১ বছরের মীনাক্ষী গ্রেটার নয়ডার পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালে নিকির ভাই রোহিত পাইলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মীনাক্ষী বলেন, ‘আমার বাবা তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী সব কিছু দিয়েছিলেন, কিন্তু ওরা সন্তুষ্ট ছিল না। যৌতুকে দেওয়া মারুতি সুজুকি গাড়িটি কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল এই বলে যে তিনি এমন একটি গাড়ি দিয়েছেন যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটবে।' মিনাক্ষীর পরিবারের দাবি, নিকি ভাটির পরিবার নতুন মডেলের স্করপিও এসইউভি এবং নগদ টাকা দাবি করে। কিন্তু তাঁরা তা অস্বীকার করায় মিনাক্ষীকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।মীনাক্ষী অভিযোগ করেছেন যে নিকি-কাঞ্চনের বিয়ের আগেই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পঞ্চায়েত ডাকার পরে দুই ননদের বিয়ের সময় তিনি শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-মারণ ফাঁদ! বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত পাকিস্তান, জলের তলায় কারতারপুর গুরুদ্বার
কাঁদতে কাঁদতে মীনাক্ষী অভিযোগ করেন, ‘আমার স্বামী রোহিত, কাঞ্চন, নিকি এবং তাদের মা একসঙ্গে আমাকে মারধর করত। কাঞ্চন, নিকি আমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিত, বলত যে চলে যাও, আমার ভাই অন্য কোথাও বিয়ে করবে। ২০২০ সালে যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে যৌতুক হয়রানির মামলা দায়ের করি, পারিবারিক মীমাংসার পর তা প্রত্যাহার করা হয়, কিন্তু তারা আবার আমাকে হয়রানি শুরু করে।’ মিনাক্ষীর অভিযোগ, নিকির বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে কখনও পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি।নিকির মৃত্যুর ন্যায়বিচারের প্রেক্ষিতে মীনাক্ষী বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের মেয়ের সঙ্গে অন্যায় করেছে সে কীভাবে ন্যায়বিচার পাবে? আমিও কারও মেয়ে, আমার বাবা আমাকে দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন।' এদিকে, নিকির ভাই রোহিত তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, 'আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলি নিছক অভিযোগ।'
আরও পড়ুন: মানবিকতার খাতিরে পাকিস্তানকে বন্যা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল ভারত
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নিকি ও কাঞ্চন ভাটি পরিবারের দুই ভাই বিপিন ও রোহিতকে বিয়ে করেছিলেন। দুই বোনের জীবনই তখন থেকে অন্ধকারের পথে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে এই নারকীয় ঘটনাকে ঘিরে।