প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন সীমা হায়দার। সঙ্গে চার সন্তান। ভারতের সচিন মীনার প্রেমে পাগল হয়ে ভারতে চলে এসেছেন সীমা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সচিনের চেহারাতো একেবারেই হিরো সুলভ নয়। সেক্ষেত্রে এমন রোগা পাতলা ছেলেটার প্রেমে কী করে পড়লেন সীমা? আসলে অনেকেরই মনে এই প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে। এবার একটি সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সীমা নিজেই।
সীমা বলেন, ওখানে আমার দুজন বন্ধু ছিল। তারা মাঝেমধ্য়েই বলত, সীমা এই পাতলুর মধ্যে কী দেখলে যার প্রেমে পড়ে গেলে তুমি? একেবারে বাচ্চার মতো দেখতে! আর সীমা বলেন, আপনারাও তো তাই ভাবেন তাই তো? আমার চোখের দিকে তাকান তাহলেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সীমার এই উত্তর শুনে হেসে ফেলেন সচিন। সচিন হল সীমার প্রেমিক। নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে তাকেই বিয়ে করেছেন তিনি।
সাংবাদিক সীমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, সচিন কি আপনার সত্যিকারের হিরো?
সীমা বলেন, একদম। আপনি যদি আমার জায়গা থেকে বসে বিষয়টি দেখেন তবে এটা বুঝতে পারবেন। আসলে ভালোবাসা এমনই হয়। এরপরই সীমা সচিনের চিবুক স্পর্শ করেন।
আসলে বাস্তবটা হল, সীমা সম্পর্কে নানা সন্দেহ করছেন অনেকেই। এটিএসও বার বার জেরা করেছে সীমাকে, সচিনকে। আসলে সীমার ভারতে আসার পেছনে অন্য কোনও গল্প আছে কি না সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সীমা পাক চর কি না সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠছে, সীমার মতো সুন্দরী কীভাবে সচিনের মতো সাধারণ যুবকের প্রেমে পড়লেন?
তবে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সীমা। তিনি জানিয়েছেন, সচিনকে তিনি ভালোবাসেন। তিনি সচিনকে ভালোবেসে এখানেই থাকবেন। তার জন্য মারা যাবেন। কিন্তু তবু ভালোবাসা ছাড়বেন না।
পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। এরপর অবৈধ পথে তিনি চলে আসেন ভারতে। এরপরই নানা কথা উঠতে থাকে। সত্যিই কি প্রেমের টানে ভারতে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য় কিছু?
তবে সীমা বার বার জানিয়েছেন, আমি ভালোবাসি সচিনকে। ওর সঙ্গে থাকব বলে ভারতে এসেছি। তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। এমনকী সাধারণ চেহারার সচিনকে কেন তিনি ভালোবাসেন সেকথাও জানালেন সীমা।