
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বাংলাদেশে বাস করে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাদের একটা বড় অংশ কক্সবাজারে থাকে। এতদিন ধরে এই সব রোহিঙ্গাদের জন্য মাথা পিছু মাসিক ১২ ডলার করে বরাদ্দ করত রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি। তবে সেই বরাদ্দ এবার ১২ ডলার থেকে কমিয়ে একধাক্কায় ৬ ডলার করার পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএফপি। এই আবহে আগামী ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গারা মাথাপিছু সাড়ে ১২ ডলারের পরিবর্তে ৬ ডলার পাবে রেশন হিসেবে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পালটা শুল্ক জুজুতে শঙ্কিত নয় ভারত, 'অন্য ছক' কষার চেষ্টা চলছে)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের 'হাতকড়া পরাতে' চলেছেন ট্রাম্প, বৈঠক হল ঢাকায়
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে চিঠি লিখে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ইস্যুর উল্লেখ করেছিলেন। মায়ানমার নিয়ে ইউনুসের উদ্বেগের প্রতি সহমত পোষণ করেছেন গুতেরেস। এদিকে আগামী ১৩ মার্চ বাংলাদেশে পা রাখতে চলেছেন গুতেরেস। তার আগেই অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের ডব্লিউএফপি-র তরফ থেকে বাংলাদেশে সবাস করা রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন বরাদ্দ কমানো হল। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিদেশ নীতি অনেকাংশেই ভারতের জন্যে ভালো, বড় দাবি জয়শংকরের)
আরও পড়ুন: 'খলিস্তান ইস্যু' অতীত? নিজের দেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে নয়া 'হাতিয়ার' পেলেন ট্রুডো?
এদিকে রাখাইন প্রদেশে এখনও প্রায় ৫ লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা আছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। এই আবহে রোহিঙ্গারা আপাতত জুন্তাকে সমর্থন করছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে অনেক রোহিঙ্গা দেশে ফিরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। আবার আরাকান আর্মিও নাফ নদের তীরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস নিজে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে মাঝেমাঝেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। এদিকে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। এই আবহে জুন্তার পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে আছে তারা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে জুন্তা বাহিনীর ঘাঁটি নিশানা করে হামলা শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। এই আবহে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এর আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গিয়েছে আরাকান আর্মির। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিত্তে শহরটি জুন্তার দখলে রয়েছে। তবে প্রদেশের অধিকাংশের ওপরই জুন্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports