বিহারের পর এবার মহারাষ্ট্র। ভোটার লিস্ট ভেরিফিকেশনে অনিয়ম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর আবারও প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।আর এই বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে কমিশনের গোপন আঁতাত আছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-'ভারতের পাল্টা শুল্ক আরোপ...,' ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শশী
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের ভোটার তালিকা দেখিয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, এই দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তিনি বলেন, 'সংবিধানের ভিত্তি হল ভোট। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভাবতে হবে যে সঠিক ব্যক্তিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কিনা? ভোটার তালিকায় কি ভুয়ো ভোটার যোগ করা হয়েছিল? মহারাষ্ট্রের নির্বাচন চুরি করা হয়েছিল। আমরা মহারাষ্ট্রে নির্বাচনে হেরেছি। মহারাষ্ট্রে ৪০ লক্ষ ভোটার রহস্যজনক। পাঁচ মাসে এখানে অনেক ভোটার যুক্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সম্পর্কে উত্তর দেওয়া উচিত। তাদের বলা উচিত ভোটার তালিকা সঠিক নাকি ভুল?'
আরও পড়ুন-'ভারতের পাল্টা শুল্ক আরোপ...,' ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শশী
এরপরেই রাহুল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটগ্রহণের দিন সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, 'তারা বলেছিল আমরা সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে ফেলব। এটা আমাদের কাছে অবাক করার মতো বিষয় ছিল, কারণ মহারাষ্ট্রে বিকেল সাড়ে ৫ টার পর উল্লেখযোগ্য হারে ভোটের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।' তাঁর কথায়, 'আমাদের কুমিরা জানত যে ভোটকেন্দ্রে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিকেল সাড়ে ৫ টার পরে ব্যাপক হারে ভোট সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। এরপরেই আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি যে ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোট চুরি করার জন্য বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করছে।' কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন কেন ইলেকট্রনিক ডেটা দেয় না? আমরা বারবার কমিশনের কাছে তথ্য চেয়েছি কিন্তু তা আমাদের দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন এমনকী আমাদের উত্তর দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে।' রাহুলের বক্তব্য, 'দেশে জাল ভোটদানের ঘটনা ঘটছে। এই চুরি ধরতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। এই ভোটার তালিকায় অনেকের বাবার নামের আগে কিছু লেখা আছে। ভোটার তালিকায় অনেক বাড়ির ঠিকানা শূন্য। নকল ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তিনবার ভোটদানকারী ১১ হাজার সন্দেহভাজন ব্যক্তি রয়েছেন। এই লোকেরা কোথা থেকে আসছেন? একই ঠিকানায় ৪৬ জন ভোটার রয়েছেন।'