অরিশ ছাবরা
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ অব্যাহত রেখেছেন। 'মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী যখন বিমানে চড়েন, তখন নীচের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, 'ওটা কোন দেশ? যদি বলা হয় যে এটা-সেটা তখন তিনি বলেন, 'চিন্তা নেই, আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে এক ঘণ্টা দেরি হবে; চলো এখনই এখানে নামা যাক।' তিনি যে কোনও জায়গায় অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই তিনি পাকিস্তানে অবতরণ করেছিলেন,' শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় পাঞ্জাবি ভাষায় বলেন কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ভগবন্ত মান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাথে দেখা করতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আকস্মিক সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ঠিক সেভাবেই পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিরিয়ানি খেয়ে ফিরে এলেন। আমরা পাকিস্তানে যেতে পারব না, কিন্তু তিনি পাকিস্তানে নামতে পারেন! মন্তব্য করেন ভগবন্ত মান।
২০১৫ সালে রাশিয়া সফর ও আফগানিস্তানে যাত্রাবিরতি শেষে দেশে ফেরার পথে মোদী পাকিস্তানেও যাত্রাবিরতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একটি অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ভগবন্ত মানের নাম না করেই বলা হয়, এই মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দুঃখজনক৷ শুক্রবার পাঞ্জাব বিধানসভার বাইরে মানকে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কি বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার নেই?’
তিনি আরও বলেন, 'ভবিষ্যতেও প্রশ্ন করা অব্যাহত থাকবে। দেশের ১৪০ কোটি দেশবাসীর সঙ্গে তাঁর উচিত তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং তাদের উদ্বেগ দূর করা। তিনি বলেছেন ইউক্রেন (-রাশিয়া) যুদ্ধ বন্ধ করবেন, কিন্তু পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে জল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। কিছুটা রসিকতা করে তিনি বলেন, 'ম্যাগনেশিয়া', 'গালভিয়াসা' বা 'তারভেসিয়া'র মতো এলোমেলো, অস্তিত্বহীন দেশ সফর করতে পারেন মোদী।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দিলজিতের সিনেমার শুটিং হয়েছিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আগে, যার পরে ভারত পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল। মান বলেন, কেউ দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট দিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, ‘গোটা দেশের জন্য একটি বার্তা ছিল’, ‘পাঞ্জাব ও হরিয়ানা ছাড়া আপনি খেতে পারবেন না’ কারণ এই দুটি রাজ্য থেকেই ‘দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের ৭০ শতাংশ থেকে আসে’।