বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। ভোটের মুখে পাটনায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা রাজকুমার রাই ওরফে আল্লা রাইকে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ।যার জেরে শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। স্বভাবতই জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমালোচনায় সরব হয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস-সহ বামপন্থী দলগুলি।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ পাটনার চিত্রগুপ্ত এলাকার মুন্নাচকে। আর ঠিক মাসখানেক পরেই বিহারে ভোট। তার আগে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে রাজকুমার রাইয়ের ভোটে লড়ার কথা ছিল।ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত কারবার ছিল রাজকুমার রাইয়ের। এদিকে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। আরজেডি নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে গুলির ছটা খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অভিযুক্তরা গুলি চালিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালায়। ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে যাবতীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এখন অপরাধীদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
আরও খবর-সাংঘাতিক-কাণ্ড! অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানে অ্যাক্টিভ ভারতীয় সিম, বড় গুপ্তচরবৃত্তি ফাঁস
পাটনা পূর্বের পুলিশ সুপার পরিচয় কুমার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে এই খুনে জড়িত রয়েছে দুজন। তিনি আরও জানান, মৃত ব্যক্তি রাজনীতি করতেন এবং তাঁর জমি বেচাকেনার ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই প্রথম নয়, এর আগে টার্গেট করা হয়েছে-গোপাল খেমকা, অজিত কুমার, রমাকান্ত যাদব, বিক্রম ঝা, জিতেন্দ্র কুমার মাহাতো, সুশীলা দেবী, সুরেন্দ্র কেওয়াতকে। নামগুলি জনসাধারণের কাছে অতটা পরিচিত না হলেও। গত জুলাইয়ে ১০ দিনে বিহারে রাজনৈতিক তরজার কেন্দ্রে এই নামগুলি উঠে এসেছিল।মাত্র দশ দিনে এই সাত জন নেতা খুন হয় বিহারে। এরপরেই বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার শাসনে বিহারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দেয়। লালু যাদবের আমলের ‘জঙ্গলরাজের’ তুলনা টেনে আনা হয়।এবার খুন হলেন খোদ আরজেডি নেতা।
আরও খবর-সাংঘাতিক-কাণ্ড! অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানে অ্যাক্টিভ ভারতীয় সিম, বড় গুপ্তচরবৃত্তি ফাঁস
এদিকে, ভোটমুখী বিহারে এখন প্রকল্পের ছড়াছড়ি। দু’দিন আগেই রেলপ্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ভাগলপুর–দুমকা–রামপুরহাট রেলপথে ‘ডবল লাইন’-এর কাজের অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই পথে একটিই রেল লাইন (সিঙ্গল লাইন) রয়েছে। এই রেলপথ সম্প্রসারিত করে ‘ডবল লাইন’-এ রূপান্তরিত করার কাজ চলছে। বিহারের পাশাপাশি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডও।প্রসঙ্গত, সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই রেলপ্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।