
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
হায়দরাবাদে জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে হত্যা মামলায় এক পুরোহিতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।সেই সঙ্গে ২০২৩ সালে হায়দরাবাদ কাঁপানো অপ্সরা মামলায় অভিযুক্ত ভেঙ্কট সাইকৃষ্ণকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে তেলেঙ্গানার রাঙ্গারেড্ডি জেলা আদালত। তাকে মৃত টেলিভিশন অভিনেত্রীর পরিবারকে ৯.৭৫ লক্ষ টাকা এবং আদালতকে ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন-Visa Applications: এক ধাক্কায় ২০০০ ভারতীয়র ভিসা আবেদন বাতিল! কেন বড় পদক্ষেপ ট্রাম্পের?
জানা যায়, নিহত অভিনেত্রীর মা প্রায়শই মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন। সেই মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন সাইকৃষ্ণ। মায়ের সঙ্গে অভিনেত্রীও মন্দিরে যেতেন। তখনই নির্যাতিতার সঙ্গে পুরোহিতের পরিচিত হয় এবং ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু অভিযুক্ত পুরোহিত আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন, তবুও তিনি অভিনেত্রীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। এরপর যখন অপ্সরা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে, তখন সে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন।
পুলিশ জানায়, পুরোহিত ভেঙ্কট সাইকৃষ্ণ ৩ জুন, ২০২৩ সালে কোয়েম্বাটুর যাওয়ার অজুহাতে অপ্সরাকে লোভ দেখিয়ে বাইরে নিয়ে যান এবং তারপর তাকে খুন করেন। সাইকৃষ্ণ অভিনেত্রীকে বলেছিলেন যে তিনি কোয়েম্বাটুরের বিমানের টিকিট বুক করেছেন এবং তাকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে চান। সাইকৃষ্ণ অপ্সরার মাকে বলেন, যে অভিনেত্রীর কোয়েম্বাটুরে কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং সে তাকে শামশাবাদ বিমানবন্দরে নামিয়ে দেবে।সেই মতো ওই পুরোহিত অভিনেত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে যান।ওই রাতে, দু'জনে ৮.১৫ টার দিকে সরুরনগর থেকে বের হয় এবং রাত ১০ টায় শামশাবাদ মণ্ডলের রাল্লাগুড়ার একটি হোটেলে রাতের খাবার খায়। পরে ওই পুরোহিত সুলতানপল্লীর একটি গোশালায় যান। ৪ জুন, ভোর ৩:৫০ নাগাদ, তারা নারকুডার একটি নির্জন স্থানে পৌঁছয়। সেখানে একটি নির্মাণস্থলে অভিনেত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেন ওই পুরোহিত। এরপর অভিনেত্রীর দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এবং দুই দিন ধরে পার্কিংয়ে রাখা গাড়িতে দেহটি লুকিয়ে রাখেন। গন্ধ লুকানোর জন্য প্রতিদিন রুম ফ্রেশনার স্প্রে ব্যবহার করতেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন-Visa Applications: এক ধাক্কায় ২০০০ ভারতীয়র ভিসা আবেদন বাতিল! কেন বড় পদক্ষেপ ট্রাম্পের?
এরপর সাইকৃষ্ণ অভিনেত্রীর মৃতদেহ বাড়ির কাছে একটি সরকারি অফিস কমপ্লেক্সের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। এমনকি অব্যবহৃত ম্যানহোলটি বালি-সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে দেন। এরপর সে অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে মিলে থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। এবং পুলিশের কাছে দাবি করেন, তিনি অভিনেত্রীর মাকে বোনের মতো দেখেন। তাই সম্পর্কে অভিনেত্রী তাঁর ভাগ্নি হন। এরপর ভাগ্নি অপ্সরার নিখোঁজ দায়েরি দায়ের করেন। কিন্তু সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করেও রক্ষা পান না অভিযুক্ত। পুলিশ তদন্তের পর পুরো ঘটনা খুঁজে বের করেন এবং পুরোহিতকে গ্রেফতার করেন। অবশেষে ২ বছর মামলা চলার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল পুরোহিতের।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports