করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ কীভাবে রুখবেন, সেই ‘উপায়’ বাতলে দিলেন বিজেপি নেত্রী উষা ঠাকুর। মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী উষা ঠাকুর পরামর্শ দিলেন, চারদিন ‘যজ্ঞ চিকিৎসা’ করলে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে না।ইন্দোরে একটি করোনা কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, ‘পরিবেশের শুদ্ধিকরণের জন্য চারদিন ধরে যজ্ঞ করুন। এটা যজ্ঞ চিকিৎসা। অতীতে আমাদের পূর্বপুরুষরা যজ্ঞ চিকিৎসার মাধ্যমেই মহামারী দূর করতেন। পরিবেশকে স্বচ্ছে করে তুলুন, তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতে ছুঁতেও পারবে না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঢেউয়ে সর্বপ্রথম শিশুরা প্রভাবিত হবে। সেজন্য মধ্যরপ্রদেশ সরকার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা সাফল্যের সঙ্গে এই মহামারী কাটিয়ে উঠব।’ তা নিয়ে আবার বিরোধীদের কটাক্ষ, তাহলে কি চারদিন ‘যজ্ঞ চিকিৎসা’-র প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার?উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই একটি মামলার শুনানিতে কার্যকারীভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য অবিলম্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা যাবে। আর সেটার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে (করোনার) তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে। একটি শিশু যখন হাসপাতালে যাবে, তখন তার মা এবং বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টিকাকরণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টিকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে এবং সেরকমভাবে প্রস্তুতি সারতে হবে।’