সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)- তে যোগ দিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েই তিনি দুদেশের বাণিজ্য আর যোগাযোগের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে পাকিস্তান চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবিওআর) প্রকল্পের ভুয়সী প্রশংসা করলেও ভারত বরাবরের মতোই এর তীব্র বিরোধিতা করেছে।
আরও পড়ুন: ২০ সেকেন্ডের করমর্দন শেহবাজের সঙ্গে, পরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ জয়শংকরের
ওবিওআরকে চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ বলেই মনে করছে ভারত। সেই কারণে এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে ভারত। উল্লেখ্য, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে একমাত্র দেশ হয়ে উঠেছে যারা এই প্রকল্পকে সমর্থন করেনি।
উল্লেখ্য, ওবিওআর প্রকল্পে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে কাশ্মীরের পাকিস্তান-অধিকৃত অংশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। এসসিও কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে রাশিয়া, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান চিনের এই সংযোগ ব্যবস্থার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও এসসিও শীর্ষ সম্মেলনেও ভারত একইভাবে ওবিওআরকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছিল।
প্রসঙ্গত, আগে ওবিওআর- এর নাম ছিল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)। সেই নাম পরিবর্তন করে ওবিওআর করেছে চিন। তবে ভারত ইতিমধ্যেই এর কঠোর সমালোচনা করেছে। কারণ এই প্রকল্পে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর জড়িত যা কাশ্মীরের পাকিস্তাননঅধিকৃত অংশের মধ্য দিয়ে যায়। তবে শুধু ভারতই নয়, ওবিওআর-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা বাড়ছে। কারণ এই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক দেশ ঋণের বোঝায় চাপা পড়েছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘ঋণ একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’
উল্লেখ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জয়শঙ্কর ছাড়াও তাতে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী রোমান গোলোভচেঙ্কো, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন, ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ রেজা আরেফ, কাজাখস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওলজাস বেকতেনভ, কিরগিজ মন্ত্রিপরিষদের প্রধান আকিলবেক জাপারভ, মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওয়সান লোভচেনকো, ইরানের প্রধানমন্ত্রী লোভনস-ন। এছাড়াও সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন তাজিকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কোহির রসুলজোদা, তুর্কমেনিস্তানের ডেপুটি চেয়ারম্যান রশিদ মেরেদভ এবং উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আরিপভ।