নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতের আবহে পাকিস্তান যোগের অভিযোগে গুজরাটে এক ‘অবৈধ’ মাদ্রাসা বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। আমরেলিতে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করতেন মৌলবী মহম্মদ ফয়জল আবদুল আজিজ শেখ। পুলিশের দাবি, তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান যোগ রয়েছে। এরপরেই 'বুলডোজার অ্যাকশন' নেয় গুজরাট পুলিশ।
আরও পড়ুন-স্বাভাবিক ছন্দে উপত্যকা! স্কুল, কলেজ পঠনপাঠন চালু, বন্ধ সীমান্ত এলাকা
আমরেলির ডিএসপি পিআর রাঠৌর বলেন, এসডিএমের তদন্তে জানা গিয়েছে ওই মাদ্রাসার কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। মাদ্রাসার পরিচালন কমিটিও স্বীকার করে নিয়েছে যে এই নির্মাণ যথাযথ আইনি পদ্ধতি মেনে হয়নি। যার জেরেই ভেঙে ফেলা হয়েছে ওই মাদ্রাসা। অবৈধ নির্মাণ ভাঙার সময় কোনওরকম অশান্তির আশঙ্কা এড়াতে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশকে কোনও বিক্ষোভ বা অশান্তির সম্মুখীন হয়নি। সূত্রের খবর, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠলেও এই অভিযানের নেপথ্যে রয়েছে মৌলবীর পাক-যোগের অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাক-যোগের সন্দেহে মৌলবী আজিজ শেখকে হেফাজতে নেয় গুজরাট পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত নিজের পাক যোগের কথা স্বীকার করে নেয়। তদন্তে আজিজের ফোনে সন্দেহজনক সাতটি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে পাকিস্তানে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্তের, কী উদ্দেশ্য ছিল তার। গুজরাট এটিএসের অনুমান, সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই মৌলবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজিজ শেখ আদতে আমদাবাদের জুহাপুরার বাসিন্দা হলেও আমরেলির মাদ্রাসা পরিচালনা করত।
আরও পড়ুন-স্বাভাবিক ছন্দে উপত্যকা! স্কুল, কলেজ পঠনপাঠন চালু, বন্ধ সীমান্ত এলাকা
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরেই উচ্চ-সতর্কতা জারি হয় গোটা দেশে। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে পাকিস্তানি নাগরিকদের চিহ্নিত করে ওই দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছিলেন, ‘ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের খুঁজে বের করে তাড়ান। প্রত্যেক রাজ্যে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের শনাক্ত করুন এবং দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করুন। রাজ্যে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থেকে থাকেন তাহলে তাঁকে শনাক্ত করতে হবে এবং পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে।’ এরপরেই পাকিস্তানিদের খোঁজে রাজ্যগুলিতে তৎপর হয় প্রশাসন।