মঙ্গলবার ভারত সরকার জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামত ও পুনর্নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। এর আগে, এদিন এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, মহম্মদ ইউনুসের শাসনে থাকা বাংলাদেশে উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি অর্থাৎ সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভাঙার কাজ চলছে। ঘটনার খবর পেতেই ক্ষোভ উগরে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই, ওই বাড়িটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার্থে দিল্লির জোরালো বার্তা গেল ঢাকার কাছে।
এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘বাংলা সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক ভবনটির ঐতিহাসিক মর্যাদা বিবেচনা করে, ধ্বংসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ভালো এবং এটিকে সাহিত্যের মিউজিয়াম এবং ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা যায় কিনা তার জন্য এর মেরামত ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলি পরীক্ষা করে দেখা হোক।’ বিশিষ্ট সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তথা সত্যজিৎ রায়ের এই পৈতৃক ভিটে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারের অধীনে। আর তা ভাঙার খবর পেতেই তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে দিল্লি। ভারত সরকারের সাফ দাবি, বাড়িটি পুনর্নিমাণে দিল্লি ইচ্ছুক ঢাকাকে সহযোগিতা করতে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিকে বলা হয়েছে,'ভারত সরকার এই উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।'
‘দ্য ডেইলি স্টারের’ একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর বাড়ি - একটি বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন - পূর্বে ময়মনসিংহ শিশু একাডেমি হিসাবে ব্যবহৃত হত। তবে, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রায়ের পৈতৃক সম্পত্তিটি বছরের পর বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। দ্য ডেইলি স্টার-র রিপোর্টে বলা হয়েছে,'এটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে একটি নতুন আধা-কংক্রিটের কাঠামো তৈরির জন্য।' এই বাড়ি একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনও।