টানা চারবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ বিজেপির প্রথম সারির একাধিক নেতা। তবে সেই অনুষ্ঠান বয়কটের পথে হেঁটেছে আরজেডি।সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নীতিশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও উত্তরপ্রদেশের মতো দু'জন ডেপুটি থাকবেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চারবারের সাংসদ তারকিশোর প্রসাদ এবং রেণু দেবীর নাম ভেসে আসছে। রবিবার বিধানসভায় বিজেপির দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারকিশোর। রেণু হয়েছেন উপ-দলনেতা।২০১০ এবং ২০১৫ সালে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি পাটনার গান্ধী ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবার তা অনেকটাই সাদামাঠা হচ্ছে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল সাড়ে চারটের সময় নীতিশকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। সূত্রের খবর, নীতিশের পাশাপাশি এনডিএয়ের আটজন শপথগ্রহণ করবেন। পরে অবশ্য মন্ত্রিসভা বাড়ানো হতে পারে। বিজেপি ৩১ টি আসন বেশি হলেও প্রথম দফার শপথগ্রহণে চারজন সম্ভবত জেডিইউয়ের বিধায়ক থাকবেন।এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটের পথে হেঁটেছে আরজেডি। একটি টুইটবার্তায় আরজেডির তরফে বলা হয়েছে, ‘শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করছে আরজেডি। এনডিএয়ের বিরুদ্ধে জনমত ছিল। রাজ্যের নির্দেশে জনমত পালটে গিয়েছে। বিহারের বেকার, চাষি, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এবং কর্মরত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করুন, তাঁদের কীরকম মনে হচ্ছে। এনডিএয়েের জোচ্চুরির ক্ষেত্রে জনগণ তিতিবিরক্ত। আমরা জনগণের প্রতিনিধি এবং তাঁদের পাশে আছি।’ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই এনডিএয়ের বিরুদ্ধে ‘জোচ্চুরি’-র অভিযোগ তুলেছে আরজেডি। গণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তা সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় তেজস্বী যাদবের দল।