ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজের ছেলের বিয়ের দেরিকে ‘যুদ্ধের ব্যক্তিগত ক্ষতি’ বলে মন্তব্য করায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিশেষ করে যখন ইরানের হামলায় নিহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তখন এমন বক্তব্যকে অনেকেই ‘সংবেদনহীন’ এবং ‘আত্মকেন্দ্রিক’ বলছেন।বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের এক পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এরপরেই ইজরায়েলের দিকেও ধেয়ে এসেছে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। হামলা চালানো হয়েছে দক্ষিণ ইজরায়েলের হাসপাতালে। আর তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সে দেশজুড়ে। (আরও পড়ুন: ভারত সীমান্ত নিয়ে বড় বার্তা বাংলাদেশ সেনার,শোনা গিয়েছিল সংঘাতের ষড়যন্ত্রের কথা)
আরও পড়ুন: এখনও 'ICU'-তে পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটি, বন্ধ থাকবে ৪ জুলাই পর্যন্ত
আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় সুইস ব্যাঙ্কে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণ!
ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বীরশেবা শহরের এক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হাসপাতালের। এরপরেই হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, 'আমার ছেলের বিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেছাতে হয়েছে। আমার স্ত্রী এবং ছেলের বাগদত্তাও এই পরিস্থিতিতে খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে যুদ্ধের ক্ষত বইছি। তিনি ব্রিটেনের ‘ব্লিটজ’ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে ইজরায়েলের বর্তমান সংকটের তুলনা করেন এবং নিজের স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে 'নায়িকা' বলেও অভিহিত করেন। (আরও পড়ুন: ইউনুস প্রশাসনে ভরসা নেই? বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর বড় বয়ানে উঠল প্রশ্ন)
আরও পড়ুন-ভারত থেকে তেহরানের শক্তির মূর্তি! ইরানের প্রথম সুপ্রিম নেতার যোগ আছে এই গ্রামে
অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে ‘অনুভূতিহীন’ ও ‘নিজস্ব প্রচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।ক্নেসেট সদস্য গিলাদ কারিভ বলেন, 'অনেক পরিবার আছে, যাদের সন্তানরা আর কখনোই বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। তারা আর জীবিত নেই।' এদিকে ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। (আরও পড়ুন: খলিস্তানি চরমপন্থা কানাডার জন্য হুমকি, দাবি সেই দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি যে 'অবান্তর' তা স্পষ্ট হল পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর কথাতেই
জানা গেছে, সোরোকা হাসপাতালে ১০০০-এর ওপর বেড রয়েছে এবং সেখানে দক্ষিণ ইজরায়েলের ১০ লক্ষের বেশি মানুষের চিকিৎসা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হানায় বড়োসড়ো ক্ষতি হয়েছে ইজরায়েলের। যা মূলত দক্ষিণ এবং মধ্য ইজরায়লের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে।হাসপাতালে হামলার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পর ইজরায়েল জুড়ে সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে হাসপাতালের উপর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোরোকা হাসপাতাল সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে। (আরও পড়ুন: কানাডায় মৃত্যু ভারতীয় ছাত্রীর, কারণ ঘিরে ধন্দ, এখনও নীরব স্থানীয় প্রশাসন)
আরও পড়ুন: USA কি ইরানে হামলা করবে? কবের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প? জানাল হোয়াইট হাউজ
এই আবহে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ধরবে কিনা, সেই বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ইরান–ইজরায়েল সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সরাসরি যুক্ত’ হবে কিনা, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা নাও হতে পারে। এর ওপর ভিত্তি করে (সংঘাতে) যাব কি যাব না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।’