সাত বছরে এই প্রথমবার। শেষমেশ চিনে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশনের সামিটে যোগ দিতে শি জিনপিংয়ের দেশে পৌঁছে গেলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। স্বাগত জানানো হয় ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি দিয়েও। আট থেকে আশি সব বয়সের প্রবাসীদের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। এছাড়াও, এছাড়াও চিনা শিল্পীদের একটি দল ভারতীয় যন্ত্রসংগীত বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান তাঁকে।
ধ্রুপদী সংগীত শুনিয়ে মোদীকে অভ্যর্থনা
সেতার, সন্তুর ও তবলা বাজিয়ে অপূর্ব যন্ত্রসংগীত ও নাচ পরিবেশন করেন তাঁরা। মোদীও উপভোগ করেন সেই পরিবেশনা। নৃত্য দলের সদস্য ঝাং জিংহু এএনআই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শৈশব থেকেই ওড়িশি শিখেছি। পরে একজন ভারতীয় গুরুর কাছ থেকেও শিখেছি। আমার মনে হয় ধ্রুপদী নৃত্য একটি সমুদ্রের মতো। যদি আপনি এটি শিখতে চান, তাহলে আপনাকে এটিকে গভীরভাবে শিখতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই নৃত্য পরিবেশনা সত্যিই সম্মানের।’
আরও পড়ুন - দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ! বিদেশি নির্ভরতা বন্ধে আত্মনির্ভরতায় জোর রাজনাথের
মোক্ষম সময়ে চিন ভ্রমণ মোদীর
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে উত্তেজনা চরমে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার ফলে বর্তমানে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতেই প্রথমে জাপান ও এখন চিন ভ্রমণ করছেন মোদী। ঘটনাচক্রে এই চিনের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরেছিল সীমান্ত সমস্যা নিয়ে। ২০২০ সালের সেই সমস্যা বর্তমানে অতীত।
আরও পড়ুন - ‘৫০টিরও কম অস্ত্র…’ তুড়িতেই কুপোকাত পাক! ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বায়ুসেনা
কার কার সঙ্গে বৈঠক?
ভারত ২০১৭ সাল থেকেই সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশনের এক সদস্য। সোমবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদের এই বিশেষ সামিট। তবে তার আগে রবিবার রয়েছে একটি বিশেষ নৈশভোজ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এর পাশাপাশি বেশ কিছু বৈঠক রয়েছে মোদীর। চিনের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও বৈঠক হতে পারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। চূড়ান্ত হলে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।