ভেন্টিলেশনে থাকা বিমানসেবিকার যৌন হেনস্থার অভিযোন নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল মেদান্ত হাসপাতাল। গুরুগ্রামের এই নামকরা বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৪৬ বছরের এক এয়ার হোস্টেসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে তারা। হাসপাতালের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'একজন রোগীর অভিযোগ সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। এই পর্যায়ে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজসহ সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: 'শিবের আশীর্বাদে' ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে,চূড়ান্ত পর্যায়ে বোঝাপড়া)
আরও পড়ুন: 'তালিবানের সঙ্গে ডাবল গেম...', পাকিস্তানের মুখোশ টেনে খুললেন জয়শংকর
নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী গুরুগ্রামের সদর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের নির্যাতিতা বিমানসেবিকা জানান, সংস্থার ট্রেনিংয়ের জন্যে গুরুগ্রামে এসেছিলেন তিনি। এই আবহে হোটেলে থাকাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর তাঁকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এরপর ৫ এপ্রিল সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করেছিলেন তাঁর স্বামী। সেই হাসপাতাল থেকে গত ১৩ এপ্রিল তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মাঝে ৬ এপ্রিল তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন, তখন হাসপাতালেরই কোনও এক কর্মী তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিল। সেই সময় তিনি ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এবং কিছু বলতে পারেননি। তিনি আরও দাবি করেন, সেই সময় নাকি দু'জন নার্স আশেপাশে ছিলেন। (আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে খতম ২ ‘দামী’ মাওবাদী, ঝাড়খণ্ডে ধ্বংস ১১ বাঙ্কার, ৭টি IED)
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে 'প্রতিশোধ' নিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারল বাংলাদেশ?
আরও পড়ুন: দোষ ঢাকতে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ চিনের? দিল্লির মন গলাতে ভারতীয়দের জন্যে বিশেষ ‘ছাড়’
এরপর ১৩ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই নিজের স্বামীকে এই ঘটনার বিষয়ে জানান সেই বিমানসেবিকা। এরপর '১১২' নম্বরে ফোন করে পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান বিমানসেবিকার স্বামী। এরপর পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। সেই হাসপাতালে গিয়ে ডিউটি চার্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ। দোষীকে শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সমনে নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। এদিকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেতারা জানান, এই ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত নয়।