মহারাষ্ট্রে হাড়হিম ঘটনা। প্রেমিকাকে খুন করে দেহ একটি খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে এক যুবককের বিরুদ্ধে।নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তার প্রেমিকা ভক্তি জিতেন্দ্র মায়েকারের (২৬) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ঘনিয়ে আসছে VP নির্বাচন, এখনও নতুন সরকারি বাংলো পাননি ধনখড়, কোথায় যাবেন তিনি?)
আরও পড়ুন: শরিক হারাবে NDA? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে চরমে জল্পনা, মোদীর গদি কি টলবে?
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি। অভিযুক্তের নাম দু্র্বাস দর্শন পাতিল। গত ১৭ আগস্ট ভক্তি নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয় যে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ভক্তির মোবাইল ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করে খাণ্ডালা এলাকার কাছে তার খোঁজ পায় পুলিশ।তারপরেই পুলিশ দু্র্বাস পাতিলের উপর সন্দেহ করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।জোরদার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে এক পর্যায়ে পাতিল তার প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকার করে। পাতিল জানায়, প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর প্রায়শই ঝগড়া হতো কারণ পাতিল অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছিল। এই অশান্তির জেরেই সে ভক্তিকে খুন করে এবং তার দেহ আম্বা ঘাটের একটি খালে ফেলে দেয়। এরপরেই পুলিশ ভক্তির দেহ খাল থেকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পাতিল ও তার দুই সহযোগী, বিশ্বাস বিজয় পাওয়ার এবং সুশান্ত শান্তারাম নারালকরকে গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: ট্যারিফ দ্বন্দ্বে ভারতকে 'অনমনীয়' অবস্থান পুনর্বিবেচনার আহ্বান প্রাক্তন আমলার)
আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে উঠল সীমান্ত ইস্যু, চিনা প্রেসিডেন্টকে কী বললেন মোদী?
অন্যদিকে, পুনের কাছে পিম্পরি ছিনেওয়াড়ায় এক মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ২৬ বছর বয়সি এক যুবককে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকার বাবা-মা। আর সেই বাড়িতে গিয়েই প্রেমিকার পরিবারের হাতে নির্মমভাবে প্রহৃত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সেই যুবকের। পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত ২২ জুলাই সাংভি এলাকায় রামেশ্বর ঘেঙ্গট নামের ওই যুবককে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য প্রলুব্ধ করে বাড়িতে ডাকা হয়েছিল প্রেমিকার বাবা-মায়ের তরফে। অভিযোগ, তাঁকে বাড়িতে ডেকেই তাঁর উপর আক্রমণে চড়াও হন সকলে। পরিবারের সব সদস্যরা মিলে তাঁকে মারধোর করতে শুরু করে।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মহিলার বাবা-সহ ৯ জন পরিবারের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ২ জন এখনও পলাতক।