বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Human trafficking: কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে নামানো হত দেহ ব্যবসায়, উদ্ধার ৭, ধৃত ৬
পরবর্তী খবর
Human trafficking: কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে নামানো হত দেহ ব্যবসায়, উদ্ধার ৭, ধৃত ৬
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 11 Oct 2023, 11:24 AM ISTMD Aslam Hossain
এই ঘটনায় যে বাংলাদেশিননাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম হল– ইউনুস শেখ ওরফে রানা, সাহিল শেখ, ফিরদৌস সরদার, আয়ুবলী শেখ, বিপ্লব খান এবং যোগেশ কালান। এরমধ্যে যোগেশ স্থানীয় বাসিন্দা। মূল অভিযুক্ত হল ইউনুস শেখ ওরফে রানা গ্রেফতার করেছে।
Ad
মানপাদা থানা।
ভালো কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি তরুণীদের অবৈধভাবে নিয়ে আসা হত ভারতে। আর তারপরে তাদের আটকে রেখে নামানো হত দেহ ব্যবসায়। এরজন্য পাচারকারীরা একটি বাংলো ভাড়া নিয়ে সেখানেই চালাত এই ব্যবসা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৭ বাংলাদেশি মহিলাকে উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে পাঁচ জন হল বাংলাদেশি নাগরিক। সোমবার মহারাষ্ট্রের মানপাদা থানার পুলিশ ডম্বিভলির হেদুথানে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই চক্রের পর্দা ফাঁস করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যে বাংলাদেশিননাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম হল– ইউনুস শেখ ওরফে রানা, সাহিল শেখ, ফিরদৌস সরদার, আয়ুবলী শেখ, বিপ্লব খান এবং যোগেশ কালান। এরমধ্যে যোগেশ স্থানীয় বাসিন্দা। মূল অভিযুক্ত হল ইউনুস শেখ ওরফে রানা গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে কোনও বৈধ আইনি নথিপত্র পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি এনজিওর কর্মকর্তা মুক্তা দাস গত ৫ অক্টোবর পুনের ফ্রিডম ফার্ম এনজিওকে রানার সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং তাঁকে বারবার ধর্ষণ করে। এরপর পুনের এনজিও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঘটনায় মানপাদা পুলিশ একটি দল গঠন করে ৭ অক্টোবর গভীর রাতে হেদুথানে এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানেই পুলিশ এক নাবালিকা এবং আরও ৬ জন বাংলাদেশি মহিলাকে খুঁজে পায় এবং তাদের উদ্ধার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মূল অভিযুক্ত রানা তাদের ভারতে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসত এবং টাকার বিনিময়ে মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করত।