মাত্র ২০০০ টাকার বিনিময়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সঙ্গমের মুহূর্ত লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অভিযোগে হায়দরাবাদে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মুখে মুখোশ পরে নিজেদের যৌন কর্মকাণ্ড সরাসরি সম্প্রচার করতেন তাঁরা। অবশেষে পুলিশি অভিযানে ফাঁস হল এই গোপন র্যাকেট। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের অ্যাম্বারপেট এলাকার মল্লিকার্জুন নগরে। (আরও পড়ুন: কার্তিক মহারাজের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের, কী দাবি অভিযোগকারীর?)
আরও পড়ুন-রিল বানাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে ১৩ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু তরুণীর
জানা গেছে, ৪১ বছর বয়সি এক ক্যাব ড্রাইভার এবং তাঁর ৩৭ বছরের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশের ইস্ট জোন টাস্ক ফোর্স একটি নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অম্বরপেটের মাল্লিকার্জুনা নগরের ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে দামি ক্যামেরা-সহ ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য ব্যবহৃত আরও বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী নিজেরাই স্বীকার করেছেন, তাঁরা মূলত সহজে রোজগার করার লক্ষ্যে এই কাজে নেমেছিলেন। স্বামীর পেশা পেশাদার ক্যাব ড্রাইভিং হলেও, যৌথভাবে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে তাঁরা তার থেকেও বেশি আয় করতেন। তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে ভিডিও শেয়ার করতেন তাঁরা।প্রতিটি লাইভ ভিডিওর জন্য নেওয়া হত ২০০০ টাকা, আর রেকর্ড করা ভিডিওর জন্য ৫০০। এইসব ভিডিও অনলাইন অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছে সরবরাহ করা হত, যারা এই কনটেন্টের জন্য টাকা দিতে রাজি ছিল। (আরও পড়ুন: ভারতকে এস৪০০-এর বাকি দুই স্কোয়াড্রন কবে দেবে রাশিয়া? এল বড় আপডেট)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাককে নিয়ে বৈঠক করা চিনকে তাদের দেশে গিয়েই 'দায়িত্ব' মনে করালেন রাজনাথ
তদন্তে জানা গেছে, সঙ্গমের ভিডিও তৈরির সময় ওই দম্পতি মুখে মুখোশ পরতেন, যাতে কেউ তাঁদের পরিচয় বুঝতে না পারে। অত্যন্ত পেশাদার ভঙ্গিতেই ক্যামেরা ও আলো ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং করা হত।শ্যুটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হত এইচডি ক্যামেরা।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।এই ঘটনায় ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এই ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।অন্যদিকে, এই ঘটনায় একদিকে যেমন অনলাইন পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার বাস্তব রূপ সামনে এসেছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে সাইবার সিকিউরিটি এবং গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়েও।