বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Pune bus rape: গলায় কালশিটে! আত্মহত্যার চেষ্টা পুণে ধর্ষণ-কাণ্ডের অভিযুক্তের? কী বলছে পুলিশ?
পরবর্তী খবর
Pune bus rape: গলায় কালশিটে! আত্মহত্যার চেষ্টা পুণে ধর্ষণ-কাণ্ডের অভিযুক্তের? কী বলছে পুলিশ?
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Feb 2025, 08:17 PM ISTSahara Islam
Pune bus rapeধর্ষণের পরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পুণে কাণ্ডের অভিযুক্তের।তাঁর গলায় কালশিটে দাগ দেখতে পায় পুলিশ।
Ad
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে পুণে ধর্ষণ-কাণ্ডের অভিযুক্ত! দাবি পুলিশের
ধর্ষণের পরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পুণে ধর্ষণ-কাণ্ডের অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাদে। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেফতারের পর তাঁর গলায় কালশিটে দাগ দেখতে পায় পুলিশ। আর সেই দাগ দেখেই তাদের অনুমান আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত।
গত মঙ্গলবার পুণের স্বরগেট বাসডিপোয় এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল শিরুরের দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। টানা ৭৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার শিরুরের গুনাট গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার পরই মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। গ্রেফতারি এড়াতে এবং পুলিশ যাতে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে, তার জন্য ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু জলতেষ্টাই তাঁকে ধরিয়ে দিল। শিরুর এলাকার একটি খামারে অভিযুক্ত লুকিয়ে রয়েছেন, এমন খবর পেয়েই এলাকাটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে একটি বাড়িতে খাবার খেতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। গোপন ডেরা থেকে বেরোতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাদের গ্রেফতরির পর পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গলায় একটি দাগ ধরা পড়েছে অভিযুক্তের। মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্টে কী বলছে, তার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেটি হাতে পেলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
গত দু’দিন ধরে তন্ন তন্ন করে অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে পুণের স্বর্গেট বাসস্ট্যান্ডে একটি ফাঁকা বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় পুণে পুলিশকে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ১৩টি দল তৈরি করে অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হয়েছিল। আনা হয় স্নিফার ডগও। এমনকি তাঁর বাড়ির কাছের আখখেতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।পুলিশ জানতে পেরেছে, ধর্ষণের ঘটনা মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টা থেকে ৬টার মধ্যে হয়েছে। নির্যাতিতা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন। কোন বাসের অপেক্ষা করছেন জানতে চান। সব কিছু জানার পর তাঁকে বাসডিপোয় একটি বাসের সামনে নিয়ে গিয়ে বলেন, 'এই বাস ছাড়বে। আপনি ভিতরে গিয়ে বসুন।’ কিন্তু বাসে অন্য কোনও যাত্রী না দেখতে পেয়ে একটু খটকা লাগে। বাসে উঠে বসেন মহিলা। অভিযোগ, তিনি বাসে উঠতেই ওই ব্যক্তি দরজা আটকে দেন। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।